Wednesday, October 24, 2012

চার দশকে আমাদের সেরা চলচ্চিত্রগুলো

ঢালিউড ইনফোটেইনমেইন্ট:: যারা চলচ্চিত্র নিয়ে কাজ করেন, তাদের সবারই জানা, ১৮৮৫ সালের ২৮ ডিসেম্বর প্যারিসে অগাস্ট লুমিয়ের (১৮৬২-১৯৫৪) ও লুই লুমিয়ের (১৮৬৪-১৯৪৮) নামে দুই ভাই প্রথম চলচ্চিত্র প্রদর্শন করেন। ৫০ ফিট দৈর্ঘ্যরে ১ মিনিট স্থায়ী চলচ্চিত্রটি প্রদর্শিত হয় হোটেল ডি ক্যাফেতে।

অবিভক্ত বাংলার প্রথম চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে হীরালাল সেনের নাম স্বীকৃত। বিভিন্ন স্থানে অভিনীত নাটকের খণ্ডিত অংশের চিত্রায়ণ করে ১৯০১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি কলকাতার ক্ল্যাসিক থিয়েটারে প্রদর্শন করেন তিনি। সেই সময়ের ‘সীতারাম’, ‘আলীবাবা’, ‘দোললীলা’, ‘ভ্রমর’, ‘হরিরাজ বুদ্ধ’ প্রভৃতি জনপ্রিয় নাটক পরিবেশনার বিশেষ বিশেষ অংশ ক্যামেরায় ধারণ ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের কাছে প্রদর্শন করে তিনি বাঙালির চলচ্চিত্র নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রবল সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেন। প্রামাণ্যচিত্র, বিজ্ঞাপনচিত্র এবং সংবাদচিত্র নির্মাণের পথিকৃৎ হিসেবেও হীরালাল সেন পরিচিত।
ঢালিউড ইনফোটেইনমেইন্ট
যাই হোক, ১৯২৭-২৮ সালে ঢাকায় প্রথম চলচ্চিত্র তৈরি হয়। নওয়াব পরিবারের কয়েকজন সদস্য ও সংস্কৃতিসেবী নির্মাণ করেন ‘সুকুমারী’ ও ‘দি লাস্ট কিস’। এই দু’টি চলচ্চিত্রই পরিচালনা করেন অম্বুজ গুপ্ত। এরপর বিক্ষিপ্তভাবে ‘ইন আওয়ার মিডস্ট (১৯৪৮)’, ‘সালামত (১৯৫৪)’, ‘বন্যা (১৯৫৪)’ ‘আপ্যায়ন (১৯৫৪), ইত্যাদি বেশকিছু স্বল্পদৈর্ঘ্য, প্রামাণ্য, তথ্য ও প্রচারচিত্র নির্মিত হয়। ১৯৫৬ সালে আব্দুল জব্বার নির্মাণ করেন ঢাকার প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য সবাক চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’। সেকালে ঢাকায় সিনেমাকে বলা হতো ‘বায়োস্কোপ’। চলচ্চিত্র যখন সবাক হতে শুরু করলো, তখন একে বলা হলো ‘টকি’, পরে তা ‘মোশন পিকচার’ নামে পরিচিতি পায়।
ঢালিউড ইনফোটেইনমেইন্ট
১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল তৎকালীন শিল্পমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান (বঙ্গবন্ধু, পরে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি) উত্থাপিত বিলের মাধ্যমে পূর্ব পাকিস্তান চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থা (ইপিএফডিসি) প্রতিষ্ঠিত হলে এর সহযোগিতায় ১৯৫৯ সালে থেকে প্রতিবছর চলচ্চিত্র মুক্তি পেতে থাকে। এফডিসি ছাড়াও পপুলার স্টুডিও, বারী স্টুডিও এবং বেঙ্গল স্টুডিও বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে বিরাট ভূমিকা পালন করে। স্বাধীনতা লাভের পরে এই প্রতিষ্ঠানটির নামকরণ করা হয়, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থা (বিএফডিসি)। ১৯৭১ সাল পরবর্তী সময়ে এই স্থাপনাটিই দেশের চলচ্চিত্রের বাতিঘরে পরিণত হয়। আর সদ্য স্বাধীন হওয়া দেশটির প্রগতিশীল, সংস্কৃতিমনা কিছু মানুষ এই শিল্পটির কাঠামো তৈরিতে কাজে নেমে পড়েন। প্রথম দিকে এই শিল্পটি খুড়িয়ে চললেও এক সময় তা পূর্ণোদ্যমে কাজ শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭৫ সাল থেকে তৎকালীন সরকার দেশের চলচ্চিত্রের মান উন্নয়নে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের প্রবর্তন করেন। সেই বিবেচনায় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া সিনেমাগুলোকেই বাংলাদেশের সেরা চলচ্চিত্র হিসেবে বিবেচনা করতে পারি।
ঢালিউড ইনফোটেইনমেইন্ট
১৯৭৫ সালে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের পুরস্কার পায় নারায়ণ ঘোষ মিতা প্রযোজিত সিনেমা ‘লাঠিয়াল’। তিনি এই সিনেমার জন্য শ্রেষ্ঠ পরিচালক, আনোয়ার হোসেন সেরা অভিনেতা, ফারুক সেরা পার্শ্বঅভিনেতা ও রোজী আফসারী সেরা পার্শ্বঅভিনেত্রীর পুরস্কার পান। এ বছর ‘বাঁদী কেন কাঁদে’ সিনেমাটিতে অভিনয় করে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জেতেন ববিতা। এছাড়া ‘সুজন সখি’র চিত্রনাট্য লিখে সেরা চিত্রনাট্যকার নির্বাচিত হন খান আতাউর রহমান। যুগ্মভাবে ‘চরিত্রহীন’-এর জন্য সঙ্গীত পরিচালকের পুরস্কার জেতেন দেবু ভট্টাচার্য ও লোকমান হোসেন ফকির। ‘সুজন সখি’ সিনেমায় গান করার জন্য শ্রেষ্ঠ গায়ক ও গায়িকা হন আব্দুল আলিম ও সাবিনা ইয়াসমিন। বেবি ইসলাম ‘চরিত্রহীন’ সিনেমার চিত্রগ্রহণের জন্য শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক নির্বাচিত হন। এ বছর চলচ্চিত্রে সার্বিক অবদানের জন্য মরহুম জহির রায়হান অর্জন করেন বিশেষ সম্মাননা পুরস্কার।

১৯৭৬ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন ‘মেঘের অনেক রং’-এর জন্য প্রযোজক আনোয়ার আশরাফ ও পরিচালক হারুনর রশিদ, চিত্রনাট্যকার আমজাদ হোসেন (নয়নমণি), অভিনেতা রাজ্জাক (কি যে করি), অভিনেত্রী ববিতা (নয়নমণি), পার্শ্বঅভিনেতা খলিল (গুণ্ডা), পার্শ্বঅভিনেত্রী রওশন জামিল (নয়নমণি), সঙ্গীত পরিচালক ফেরদৌস আরা (মেঘের অনেক রং), গায়ক মাহমুদুন্নবী (দি রেইন), গায়িকা রুনা লায়লা (দি রেইন), চিত্র সম্পাদক বশির হোসেন (মাটির মায়া), চিত্রগ্রাহক (সাদা কালো) হারুন আল রশিদ (মেঘের অনেক রং), শিল্প নির্দেশক আব্দুস সবুর (সূর্যগ্রহণ), শিশুশিল্পী মাস্টার আদনান (মেঘের অনেক রং)।

১৯৭৭ সালে চলচ্চিত্র ‘বসুন্ধরা’-এর জন্য প্রযোজক সুভাষ দত্ত, কাহিনীকার আলাউদ্দিন আল আজাদ (বসুন্ধরা), পরিচালক সুভাষ দত্ত (বসুন্ধরা), চিত্রনাট্যকার আহমেদ জামান চৌধুরী (যাদুর বাঁশি), সংলাপ রচয়িতা আলমগীর কবির (সীমানা পেরিয়ে), অভিনেতা বুলবুল আহমেদ (সীমানা পেরিয়ে), অভিনেত্রী ববিতা (বসুন্ধরা), পার্শ্বঅভিনেত্রী শাবানা (জননী), সুরকার আজাদ রহমান (যাদুর বাঁশি), গায়িকা রুনা লায়লা (যাদুর বাঁশি), চিত্র সম্পাদক বশির হোসেন (সীমানা পেরিয়ে), চিত্রগ্রাহক (সাদা কালো) রেজা লতিফ (অনন্ত প্রেম), চিত্রগ্রাহক (রঙিন) এমএ মোবিন (সীমানা পেরিয়ে), শিল্প নির্দেশক মহিউদ্দিন ফারুক (বসুন্ধরা)। এ বছর শাবানা (জননী) সিনেমায় অভিনয়ের জন্য পার্শ্বঅভিনেত্রীর পুরস্কার পেলেও তিনি তা গ্রহণ করেননি।
ঢালিউড ইনফোটেইনমেইন্ট
১৯৭৮ সালে বিএফডিসি ও আমজাদ হোসেন প্রযোজিত ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের পুরস্কার পায়। এ সিনেমাটির জন্য পরিচালক, চিত্রনাট্যকার, সংলাপ রচয়িতা ও গীতিকার আমজাদ হোসেন, পার্শ্বঅভিনেতা আনোয়ার হোসেন, পার্শ্বঅভিনেত্রী আনোয়ারা, সঙ্গীত পরিচালক আলাউদ্দিন আলী, শ্রেষ্ট গায়ক সৈয়দ আব্দুল হাদী, গায়িকা সাবিনা ইয়ানমিন, চিত্রগ্রাহক (রঙিন), রফিকুল বারী চৌধুরীও পুরস্কার জেতেন। এছাড়া অভিনেতা শাখায় যুগ্মভাবে পুরস্কার পান রাজ্জাক (অশিক্ষিত) ও বুলবুল আহমেদ (বধূ বিদায়), অভিনেত্রী কবরি (সারেং বউ), সম্পাদক নুরুন্নবী (ডুমুরের ফুল), চিত্রগ্রাহক (সাদা কালো) অরুণ রায় (বধূ বিদায়), শিল্প নির্দেশক মহিউদ্দিন ফারুক (ডুমুরের ফুল), শিশুশিল্পী (যুগ্মভাবে) মাস্টার শাকিল (ডুমুরের ফুল) ও মাস্টার সুমন (অশিক্ষিত) এবং সাবিনা ইয়াসমিন (অলংকার)-এর জন্যও সেরা গায়িকার পুরস্কার জেতেন।

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ১৯৭৯ সালে গুরুত্বপূর্ণ সাতটি পুরস্কার পায় ‘সূর্য দীঘল বাড়ি’ এবং ‘সুন্দরী’ পায় সর্বাধিক ৮টি পুরস্কার। এরমধ্যে ‘সূর্য দীঘল বাড়ি’র জন্য প্রযোজক মসিহ্দ্দিন শাকের, পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার শেখ নিয়ামত আলী ও মসিহ্দ্দিন শাকের, অভীনেত্রী ডলি আনোয়ার, চিত্র সম্পাদক সাইদুল আনাম টুটুল, শিশুশিল্পী সজিব ও ইলোরা এবং শিশুশিল্পী শাখায় বিশেষ পুরস্কার পান মাস্টার লেলিন। ‘সুন্দরী’র সংলাপ রচয়িতা আমজাদ হোসেন, পার্শ্বঅভিনেতা সাইফুদ্দিন, পার্শ্বঅভিনেত্রী আনোয়ারা, সঙ্গীত পরিচালক আলাউদ্দিন আলী, গীতিকার আমজাদ হোসেন, গায়ক সৈয়দ আব্দুল হাদী, গায়িকা সাবিনা ইয়াসমিন, চিত্রগ্রাহক (সাদা কালো) আনোয়ার হোসেন সেরার পুরস্কার জেতেন। এছাড়া চলচ্চিত্র ‘আরাধনা’-এর শিল্পনির্দেশক আব্দুস সবুর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।

১৯৮০ সালে বাদল রহমান প্রযোজিত ‘এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী’ শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের পুরস্কার জেতে। সিনেমাটির পার্শ্বঅভিনেতা গোলাম মুস্তাফা, চিত্রসম্পাদক বাদল রহমান, চিত্রগ্রাহক (রঙিন) আনোয়ার হোসেন, শিশুশিল্পী টিপটিপও পুরস্কার পান। আবদুল্লাহ আল মামুন ‘এখনই সময়’ সিনেমাটি পরিচালনা করে সেরা পরিচালকের পুরস্কার জেতেন। ‘ঘুড্ডি’-এর জন্য সংলাপ রচয়িতা সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকি ও চিত্রগ্রাহক (সাদা কালো) শফিকুল ইসলাম স্বপন সেরা নির্বাচিত হন। এ বছর অভিনেত্রী শাবানা (সখি তুমি কার) ও অভিনেতা বুলবুল আহমেদ (শেষ উত্তর) পুরস্কার পান। ‘ডানপিটে ছেলে’-এর জন্য চিত্রনাট্যকার ও গীতিকার হন খান আতাউর রহমান এবং শিশু শিল্পী মাস্টার শাকিল সেরা পুরস্কার অর্জন করেন। ‘কসাই’-এর জন্য পার্শ্বঅভিনেত্রী রোজিনা, সঙ্গীত পরিচালক আলাউদ্দিন আলী, গায়ক সৈয়দ আব্দুল হাদী, গায়িকা সাবিনা ইয়াসমিনও পুরস্কার জেতেন। আর শব্দগ্রাহকের পুরস্কার পান মুস্তফা কামাল (যদি জানতেম)।
ঢালিউড ইনফোটেইনমেইন্ট
জুরি বোর্ড কোনো সিনেমাকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য যোগ্য মনে না করায় ১৯৮১ সালে এ পুরস্কার দেওয়া হয়নি। তবে ১৯৮২ সালে ১৬টি ক্যাটেগরিতে আবারও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। ‘বড় ভালো লোক ছিলো’ সিনেমাটির নির্মাতা মোহাম্মদ মহিউদ্দিন শ্রেষ্ঠ পরিচালক, সৈয়দ শামসুল হক সংলাপ রচয়িতা, রাজ্জাক শ্রেষ্ঠ অভিনেতা, প্রবীর মিত্র শ্রেষ্ঠ পার্শ্বঅভিনেতা, আলম খান সঙ্গীত পরিচালক, এন্ড্রু কিশোর সেরা গায়কের পুরস্কার পান। ‘দুই পয়সার আলতা’-এর জন্য শাবানা অভিনেত্রী, মিতালী মুখার্জী সেরা গায়িকা, আওকাত হোসেন সেরা চিত্র সম্পাদক, রফিকুল বারী চৌধুরী (সাদা কালো) পুরস্কার অর্জন করেন। ‘রজনীগন্ধা’ সিনেমার পার্শ্বঅভিনেত্রী আয়শা আখতার ও গীতিকার মাসুদ করিম সেরা পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া চলচ্চিত্র ‘মোহনা’-র জন্য আলমগীর কবির সেরা চিত্রনাট্যকার, শফিকুল ইসলাম স্বপন ‘নালিশ’-এর জন্য সেরা চিত্রগ্রাহক (রঙিন), বেবী বিন্দী ‘লাল কাজল’-এর জন্য শিশুশিল্পী এবং বাংলাদেশ টেলিভিশন (ম. হামিদ) নির্মিত ‘ল্যাথারিজম’ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের জন্য পুরস্কার পান। তবে সৈয়দ শামসুল হক তার পুরস্কারটি নেননি।

সত্য সাহা প্রযোজিত ‘পুরস্কার’ ১৯৮৩ সালের সেরা চলচ্চিত্রের খেতাব অর্জন করে। এই সিনেমাটির চিত্রনাট্যকার ও সংলাপ রচয়িতা সৈয়দ শামসুল হক, পার্শ্বঅভিনেতা শাকিল ও চিত্রগ্রাহক (সাদা কালো) আনোয়ার হোসেন পুরস্কার পান। ‘লালু ভুলু’ চলচ্চিত্রটির পরিচালক কামাল আহমেদ পরিচালক, সোহেল সেরা অভিনেতার, ‘নাজমা’তে অভিনয়ের জন্য শাবানা সেরা অভিনেত্রী, ‘নতুন বউ’-এর জন্য সুবর্ণা মুস্তাফা সেরা পার্শ্বঅভিনেত্রী, অরুণ রায়কে ‘জনি’-র জন্য সেরা চিত্রগ্রাহক (রঙিন) পুরস্কার অর্জন করেন। তবে এ বছরে সুবর্ণা তার পুরস্কারটি গ্রহণ করেননি।

১৯৮৪ সালে ‘ভাত দে’ সিনেমাটি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের পুরস্কারসহ মোট নয়টি শাখায় পুরস্কার জেতে। সিনেমাটির প্রযোজক আবু জাফর খান, পরিচালক, চিত্রনাট্যকার ও সংলাপ রচয়িতার জন্য আমজাদ হোসেন, অভিনেত্রী শাবানা, চিত্র সম্পাদক মুজিবুর রহমান দুলু, শিল্প নির্দেশক অঞ্জন ভৌমিক, শব্দ গ্রাহক এমএ বাসেত ও শিশুশিল্পী আঁখি পুরস্কার পান। অভিনেতা রাজ্জাক, পার্শ্বঅভিনেতা সিরাজ, সঙ্গীত পরিচালক খন্দকার নুরুল আলম, গীতিকার মোহাম্মদ রফিকুজ্জামান, গায়িকা সাবিনা ইয়াসমিন ‘চন্দ্রনাথ’-এর জন্য পুরস্কার পান। আনোয়ার পার্শ্বঅভিনেত্রীর পুরস্কার পান ‘সখিনার যুদ্ধ’-এর জন্য। সুবীর নন্দী গায়ক-এর পুরস্কার পান ‘মহানায়ক-এর জন্য। ‘নয়নের আলো’ সিনোমার চিত্রগ্রাহক (সাদা কালো)-এর পুরস্কার পান বেবী ইসলাম এবং রঙিন সিনেমা ‘অভিযান’-এর জন্য সেরা হন মাহফুজুর রহমান। এ বছর মোরশেদুল ইসলাম নির্মিত ‘আগামী’ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের জন্য পুরস্কার পান।
ঢালিউড ইনফোটেইনমেইন্ট
১৯৮৫ সালে কাহিনীকার ও পরিচালকের পুরস্কার পান শেখ নিয়ামত আলী এবং পার্শ্বঅভিনেতার পুরস্কার পান আবুল খায়ের। ‘মা ও ছেলে’-এর জন্য চিত্রনাট্যকার হন ইসমাইল মোহাম্মদ ও অভিনেতা ও পার্শ্বঅভিনেত্রী হন আলমগীর ও রেহানা। ‘রামের সুমতি’র জন্য অভিনেত্রী ও শিশুশিল্পী হন ববিতা ও মাস্টার জয়। ‘তিন কন্যা’ সিনেমার সঙ্গীত পরিচালক আলম খান ও চিত্র সম্পাদক মুজিবর রহমান দুলু সেরার পুরস্কার অর্জন করেন। এ বছর গীতিকার আলাউদ্দিন আলী, গায়িকা সাবিনা ইয়াসমিন, চিত্রগ্রাহক (রঙিন) বেবি ইসলাম ‘প্রেমিক’ সিনেমার জন্য পুরস্কার জেতেন।

‘শুভদা’ চলচ্চিত্রটি ১৯৮৬ সালে সর্বাধিক ১২টি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতে নেয়। চলচ্চিত্র (প্রযোজক এ কে এম জাহাঙ্গীর খান), পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম, অভিনেতা গোলাম মুস্তাফা, অভিনেত্রী আনোয়ারা, পার্শ্বঅভিনেত্রী জিনাত, সঙ্গীত পরিচালক খন্দকার নুরুল আলম, গীতিকার মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান, গায়ক সুবীর নন্দী, গায়িকা নীলুফার ইয়াসমিন, চিত্রগ্রাহক (সাদা কালো ও রঙিন) সাধন রায়, শিল্প নির্দেশক আব্দুস সবুর, শব্দগ্রাহক এমএ বাসেত পুরস্কার জেতেন। এ বছর ‘পরিণীতা’ সিনেমাটির অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন (গোলাম মুস্তাফার সঙ্গে যৌথভাবে), অভিনেত্রী অঞ্জনা ও পার্শ্বঅভিনেতা আশীষ কুমার লোহ সেরার পুরস্কার পান। এয়াড়া শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পীর পুরস্কার জেতেন ‘মায়ের দাবি’র জন্য কামরুন্নাহার আজাদ স্বপ্না।

১৯৮৭ সালে ‘দায়ী কে’ সিনেমার জন্য সেরা কাহিনীকারের পুরস্কার জেতেন আবুল হায়াত। এই সিনেমায় অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার জেতেন এটিএম শামসুজ্জামান ও পার্শ্বঅভিনেতার পুরস্কার জেতেন আনোয়ার হোসেন। এ বছর এই দু’টি পুরস্কার যৌথভাবে অর্জন করেন। এই শাখায় পুরস্কার জেতেন যথাক্রমে আলমগীর (অপেক্ষা) ও আবুল খায়ের (রাজলহ্মী শ্রীকান্ত)। পরিচালক এজে মিন্টু (লালু মাস্তান), চিত্রনাট্যকার দিলীপ বিশ্বাস (অপেক্ষা), অভিনেত্রী শাবানা (অপেক্ষা), চিত্র সম্পাদক আমিরুল ইসলাম মিন্টু (অপেক্ষা), পার্শ্বঅভিনেত্রী দীতি (স্বামী স্ত্রী), (সারেন্ডার) সঙ্গীত পরিচালক আলম খান ও গায়ক এন্ড্রু কিশোর, গায়িকা সাবিনা ইয়াসমিন (রাজলহ্মী শ্রীকান্ত), চিত্রগ্রাহক (সাদা কালো) আবুল খায়ের (সেতুবন্ধন), চিত্রগ্রাহক (রঙিন) মাহফুজুর রহমান (সহযাত্রী), শিল্প নির্দেশক শরফুদ্দীন ভূইয়া (হারানো সুর), শব্দ গ্রাহক মহিফুজুল হক পুরস্কার পান।

চলচ্চিত্র ‘দুই জীবন’ ১৯৮৮ সালে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র (প্রযোজক সূচনা চলচ্চিত্র), পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার আব্দুল্লাহ আল মামুন, গীতিকার মনিরুজ্জামান মনির, গায়িকা সাবিনা ইয়াসমিন, চিত্র সম্পাদক আতিকুল রহমান মল্লিক পুরস্কার জিতে নেয়। এ বছর ‘যোগাযোগ’ এ অভিনয়ের জন্য অভিনেতা রাজ্জাক, সঙ্গীত পরিচালক আলাউদ্দিন আলী ও শব্দগ্রাহক মফিজুল হক অর্জন করেন। রোজিনা ‘জীবনধারা’ সিনেমায় অভিনয় করে অভিনেত্রীর পুরস্কার পান ‘হীরামতি’তে অভিনয় করে। পার্শ্বঅভিনেতা ও চিত্রগ্রাহক (রঙিন)-এর পুরস্কার জিতে নেন যথাক্রমে রাজিব ও রফিকুল বারী চৌধুরী। পার্শ্বঅভিনেত্রীর পুররস্কার পান সুবর্ণা শিরিন (বিরাজ বৌ), শিল্প নির্দেশকের পুরস্কার পান আব্দুল খালেক (আগমন) এবং শিশুশিল্পীর পুরস্কার পান মাস্টার তুষার (আগমন)। শিশুশিল্পী শাখায় বিশেষ পুরস্কার অর্জন করেন বেবি জয়া (ভেজা চোখ)। স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র হয় ‘আবর্তন’। এবং ফিরোজা রহমান টিনাকে মরণোত্তর বিশেষ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।
ঢালিউড ইনফোটেইনমেইন্ট
‘সত্য মিথ্যা’ সিনেমাটি ১৯৮৯ সালে পরিচালক শাখায় এজে মিন্টু, চিত্রনাট্যকার এজে মিন্টু, সংলাপ রচয়িতা ছটকু আহমেদ, চিত্র সম্পাদক মুজিবুর রহমান দুলু, শিশুশিল্পী মাস্টার জনসন পুরস্কার জিতে নেন। অভিনেতা আলমগীর (ক্ষতিপূরণ), অভিনেত্রী শাবানা (রাঙা ভাবী), পার্শ্বঅভিনেতা ব্ল্যাক আনোয়ার (ব্যথার দান), পার্শ্বঅভিনেত্রী খালেদা আক্তার কল্পনা (জ্বীনের বাদশা), সঙ্গীত পরিচালক আলী হোসেন (ব্যথার দান), গীতিকার মরিরুজ্জামান মনির (চেতনা), গায়ক এন্ড্রু কিশোর (ক্ষতিপূরণ), গায়িকা রুনা লায়লা (এ্যাক্সিডেন্ট), চিত্রগ্রাহক অরুণ রায় (ভাইজান), শিল্প নির্দেশক আব্দুস সবুর (বিরহ ব্যথা), শব্দ গ্রাহক মফিজুল হক (ক্ষতিপূরণ) পুরস্কার অর্জন করেন।

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ১৯৯০ সালে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের পুরস্কার পায় এসএস প্রডাকশনের ‘গরিবের বউ’। এই সিনেমাটির পরিচালক কামাল আহমেদ, গায়ক সৈয়দ আব্দুল হাদী, চিত্র সম্পাদক (যুগ্মভাবে) আমিনুল ইসলাম মিন্টু ও জিন্নাত হোসেন বিল্পব, চিত্র গ্রাহক রেজা লতিফ পুরস্কার জিতে নেন। ‘দোলনা’ সিনেমাটির চিত্রনাট্যকার শিবলী সাদিক, গীতিকার মনিরুজ্জামান মনির, শব্দ গ্রাহক মফিজুল হক, শিশুশিল্পী বেবী জয়া পুরস্কার পান। ‘মরণের পরে’ সিনেমার অভিনেতা আলমগীর ও অভিনেত্রী শাবানা, পার্শ্বঅভিনেত্রী আনোয়ারা পুরস্কার পান। ‘ছুটির ফাঁদে’ সিনেমাটিতে অভিনয়ের জন্য পার্শ্বঅভিনেতা গোলাম মুস্তাফা, গীতিকার শহিদুল হক খান, গায়িকা শাহনাজ রহমতুল্লাহকে পুরস্কার অর্জন করেন। ‘লাখে একটা’ সিনেমার সঙ্গীত পরিচালক আলাউদ্দিন আলী এ বছরও পুরস্কৃত হন। আর মাস্টার দোদুল অর্জন করেন শিশুশিল্পীর পুরস্কার। স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের পুরস্কার পায় ‘আমরা তোমাদের ভুলব না’।

১৯৯১ সালের সেরা চলচ্চিত্র ‘পদ্মা মেঘনা যমুনা’র জন্য পুরস্কার পান প্রযোজক মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন। কাহিনীকার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, সঙ্গীত পরিচালক খন্দকার নুরুল আলম, গীতিকার নুরুল ইসলাম বাবু, গায়ক এন্ড্রু কিশোর, শব্দগ্রাহক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর একই সিনেমার জন্য সেরা নির্বাচিত হন। ‘পিতা মাতা সন্তান’-এর পরিচালক এজে মিন্টু শ্রেষ্ঠ পরিচালকের পুরস্কার পান। এই সিনেমার জন্য অভিনেতা আলমগীর, চিত্র সম্পাদক মুজিবুর রহমান দুলু, চিত্র গ্রাহক আবু হেনা বাবলু, শিল্প নির্দেশক মহিউদ্দিন ফারুক সেরার পুরস্কার পান। এ বছরে চিত্রনাট্যকারের জন্য পুরস্কার অর্জন করেন যুগ্মভাবে কাজী মোর্শেদ (সান্ত্বনা) ও শিবলি সাদিক (অচেনা)। অভিনেত্রী শাবানা (অচেনা), সংলাপ রচয়িতা বরুণ শংকর (সান্ত্বনা), শিশুশিল্পী মাস্টার জয়সন (সান্ত্বনা), পার্শ্বঅভিনেতা রাজিব (দাঙ্গা), গায়িকা সাবিনা ইয়াসমিন (দাঙ্গা), সেরা পার্শ্বঅভিনেত্রী নতুন (স্ত্রীর পাওনা) ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘গোধূলী’ পুরস্কার পায়। এ বছর মরহুম জাফর ইকবালকে মরণোত্তর বিশেষ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।
ঢালিউড ইনফোটেইনমেইন্ট
সরকারী অনুদানে নির্মিত চলচ্চিত্র ‘শক্সখনীল কারাগার’-এর জন্য কাহিনীকার হুমায়ূন আহমেদ, অভিনেত্রী ডলি জহুর, শব্দ গ্রাহক এমএ মজিদ পুরস্কার পান ১৯৯২ সালে। ‘অন্ধ বিশ্বাস’ সিনেমার পরিচালক মতিন রহমান, অভিনেতা আলমগীর, শিল্প নির্দেশক বিজয় সেন; ‘ত্রাস’-এর চিত্রনাট্যকার কাজী হায়াত, সংলাপ রচয়িতা কাজী হায়াত, পার্শ্বঅভিনেতা মিজু আহমেদ, চিত্র সম্পাদক সাইফুল ইসলাম; ‘রাধা কৃষ্ণ’-এর জন্য পার্শ্বঅভিনেত্রী আনোয়ারা ও গায়িকা সাবিনা ইয়াসমিন পুরস্কার পান। সঙ্গীত পরিচালক আলম খান (দিনকাল), গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার (উচিত শিক্ষা), শিশুশিল্পী বেবী সিমী (উচিত শিক্ষা) ও শিশুশিল্পী শাখায় বিশেষ পুরস্কার অর্জন করেন বেবী তানিয়া। গায়ক সৈয়দ আব্দুল হাদী (ক্ষমা), নৃত্য পরিচালক আমির হোসেন বাবু (বেপরোয়া), মেকাপম্যান দীপক কুমার সুর (মাটির কসম), স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘ধূসর যাত্রা’ এবং মরণোত্তর বিশেষ পুরস্কার দেওয়া জব্বার খানকে।

মানিক বন্দোপাধ্যারের কালজয়ী উপন্যাস ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ থেকে সিনেমা নির্মিত হয় ১৯৯৩ সালে। এ বছর সিনেমাটি সেরা চলচ্চিত্রের পুরস্কার জেতে। এটি প্রযোজনা করেন হাবিবুর রহমান খান। এ সিনেমার জন্য সেরা অভিনেতার পুরস্কার পান রাইসুল ইসলাম আসাদ ও অভিনেত্রীর পুরস্কার পান চম্পা, শিল্প নির্দেশক নির্বাচিত হন মহিউদ্দিন ফারুক, মেকাপম্যান মোহাম্মদ আলাউদ্দিন। এ বছর ‘চাঁদাবাজ’-এর জন্য সেরা কাহিনীকার কাজী হায়াত, সঙ্গীত পরিচালক ও গায়ক আজাদ রহমান, গীতিকার হাসান ফকির পুরস্কার পান। ‘বাংলার বধূ’র জন্য এজে মিন্টু পান পরিচালক ও চিত্রনাট্যকারের পুরস্কার। এছাড়া একই সিনেমার জন্য সেরা পার্শ্বঅভিনেত্রীর পুরস্কার পান আনোয়ারা, চিত্র সম্পাদকের পুরস্কার পান মুজিবুর রহমান দুলু। শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতার পুরস্কার পান সেলিম আল দীন (একাত্তরের যিশু), গায়িকা ফরিদা পারভীন (অন্ধ প্রেম), ‘অবুঝ সন্তান’ সিনেমার জন্য চিত্র গ্রাহক এআর জাহাঙ্গীর (মৌসুমী), শব্দ গ্রাহক মমতাজ উদ্দিন ভূইয়া ও শিশুশিল্পী মাস্টার অনিক পুরস্কার পান। ‘দোলা’র জন্য মাসুম বাবু পান নৃত্য পরিচালকের পুরস্কার। এ বছর বিশেষ পুরস্কার অর্জন করেন নাজির আহমেদ (মরণোত্তর)।
ঢালিউড ইনফোটেইনমেইন্ট
১৯৯৪ সালে ‘দেশপ্রেমিক’-এর জন্য প্রযোজক শেখ মুজিবুর রহমান ও ‘আগুণের পরশমণি’র জন্য হুমায়ূন আহমেদ-এর সিনেমা যৌথভাবে সেরা চলচ্চিত্র নির্বাচিত হয়। এছাড়া হুমায়ূন আহমেদ একই সিনেমার জন্য শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার, সংলাপ রচয়িতার পুরস্কারও জেতেন। এ বছর সেরা পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার নির্বাচিত হন কাজী হায়াত (দেশপ্রেমিক)। ‘আগুণের পরশমণি’র জন্য অভিনেত্রী বিপাশা হায়াত, সঙ্গীত পরিচালক সত্য সাহা, শব্দ গ্রাহক মফিজুল হক, শিশুশিল্পী শিলা আহমেদ, বিশেষ শিশুশিল্পী হোসনে আরা পুতুল পুরস্কার পান। আর অভিনেতা আলমগীর (দেশপ্রেমিক), পার্শ্বঅভিনেতা অমল বোস (আজকের প্রতিবাদ), পার্শ্বঅভিনেত্রী আনোয়ারা (অন্তরে অন্তরে), গায়িকা রুনা লায়লা (অন্তরে অন্তরে), ‘হৃদয় থেকে হৃদয়’-এর জন্য গীতিকার মাসুদ করিম, গায়ক খালেদ হাসান মিলু, মেকাপম্যান হারুণ পুরস্কার অর্জন করেন। চিত্র সম্পাদক জিন্নাত হোসেন (কমান্ডার), চিত্রগ্রাহক (যৌথভাবে) কাজী বশির (ঘৃণা) ও হাসান আহমেদ (ঘরের শত্রæ), শিল্প নির্দেশক আব্দুস সবুর (ঘাতক), স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘ঠিকানা’র জন্য পুরস্কার জেতেন রেজানুর রহমান। এ বছর বিশেষ পুরস্কার অর্জন করেন আশীষ কুমার লোহ (মরণোত্তর)।

শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের পুরস্কারসহ ‘অন্য জীবন’ সিনেমাটি ১৯৯৫ সালে সর্বমোট ১১টি পুরস্কার জিতে। শেখ নিয়ামত আলী (পরিচালক, চিত্রনাট্যকার), রাইসুল ইসলাম আসাদ (অভিনেতা), চম্পা (অভিনেত্রী), আবুল খায়ের (পার্শ্বঅভিনেতা), শান্তা ইসলাম (পার্শ্বঅভিনেত্রী), আতিকুর রহমান মল্লিক (চিত্র সম্পাদক), আনোয়ার হোসেন (চিত্র গ্রাহক), উত্তম গুহ (শিল্প নির্দেশক), মাস্টার তন্ময় (শিশুশিল্পী) পুরস্কার অর্জন করেন। অন্য তিনটি শাখায় ‘নদীর নাম মধুমতি’র কাহিনীকার ও সংলাপ রচয়িতা তানভীর মোকাম্মেল এবং গায়ক সাইদুর রহমান বয়াতী পুরস্কার পান। এ বছর গায়িকা নির্বাচিত হন কনক চাঁপা (লাভ স্টোরি)। স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র শাখায় পুরস্কার জিতে নেন তারেক মাসুদ ও ক্যাথরিন মাসুদ নির্মিত ‘মুক্তির গান’।

১৯৯৬ সালে চলচ্চিত্র ‘পোকামাকড়ের ঘর বসতি’-এর জন্য প্রযোজক ববিতা, কাহিনাকার সেলিনা হোসেন, পরিচালক মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান, চিত্রগ্রাহক মাহফুজুর রহমান; চলচ্চিত্র ‘অজান্তে’র জন্য সংলাপ রচয়িতা দিলীপ বিশ্বাস, অভিনেতা সোহেল রানা, সঙ্গীত পরিচালক সত্য সাহা, গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার, চিত্র সম্পাদক আমিনুল ইসলাম মিন্টু; ‘দীপু নাম্বার টু’-এর পার্শ্বঅভিনেতা বুলবুল আহমেদ, শিশুশিল্পী অরুণ সাহা; ‘নির্মম’-এর জন্য অভিনেত্রী শাখায় শাবনাজ; ‘কবুল’-এর জন্য গায়ক এন্ড্রু কিশোর পুরস্কার পান।
ঢালিউড ইনফোটেইনমেইন্ট
মোরশেদুল ইসলাম প্রযোজিত ‘দুখাই’ সেরা চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ ১৯৯৭ সালে মোট নয়টি পুরস্কার জিতে নেয়। অভিনেতা রাইসুল ইসলাম আসাদ, পার্শ্বঅভিনেতা আবুল খায়ের, পার্শ্বঅভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী, গায়ক কিরণ চন্দ্র রায়, চিত্রগ্রাহক এমএ মবিন, শিল্পী নির্দেশক মহিউদ্দিন ফারুক, মেকাপম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, শিশুশিল্পী নিশি এই সিনেমার জন্য পুরস্কার জেতেন। আর ‘হাঙ্গর নদীর গ্রেনেড’ সিনেমার জন্য কাহিনীকার সেলিনা হোসেন, পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম ও অভিনেত্রী সুচরিতা পুরস্কার পান। এছাড়া সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালকের পুরস্কার পান খান আতাউর রহমান (এখনো অনেক রাত)। প্রামাণ্যচিত্র বিভাগে হয় ‘জীবন ও অভিনয়’। এর পরের বছর ১৯৯৮ সালে ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ সিনেমার জন্য সেরা অভিনেতা নির্বাচিত হয় ফেরদৌস এবং সেরা চিত্র গ্রাহক (রঙিন) নির্বাচিত হন আখতার হোসেন।

১৯৯৯ সালে চলচ্চিত্র ‘চিত্রা নদীর পাড়ে’ সিনেমাটির প্রযোজক, কাহিনীকার, পরিচালক, সংলাপ রচয়িতা এই চারটি শাখায় পুরস্কার পান তানভীর মোকাম্মেল। সিনেমাটির মেকাপম্যান দীপক কুমার সুর ও শিল্প নির্দেশক উত্তম গুহ পুরস্কার পান। এছাড়া ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ চলচ্চিত্রের জন্য পুরস্কার পান অভিনেতা শাখায় জাহিদ হাসান, পার্শ্বঅভিনেতা গোলাম মুস্তাফা, সঙ্গীত পরিচালক মাকসুদ জামিল মিন্টু, গীতিকার রশীদ উদ্দিন, গায়ক সুবীর নন্দী, চিত্রগ্রাহক মাহফুজুর রহমান, শব্দগ্রাহক মফিজুল হক; চিত্রনাট্যকার কাজী হায়াৎ (আম্মাজান), অভিনেত্রী সিমলা (ম্যাডাম ফুলি), কৌতুক অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান (ম্যাডামফুলি), সুরকার আলম খান (বাঘের থাবা) পুরস্কার লাভ করেন।

ইমপ্রেস টেলিফিল্ম প্রযোজিত ‘কিত্তনখোলা’ চলচ্চিত্র ২০০০ সালে সেরা সিনেমার পুরস্কারটি পায়। এজন্য প্রযোজক ফরিদুর রেজা সাগর ও আবু সাইয়ীদকে পুরস্কৃত করা হয়। এই সিনেমার জন্য কাহিনীকারের পুরস্কার পান সেলিম আল দীন এবং আবু সাইয়ীদ সেরা পরিচালক, যৌথ চিত্রনাট্যকার আবু সাইয়ীদ ও নুরুল আলম আতিক, যৌথ সংলাপ রচয়িতা আবু সাইয়ীদ ও সেলিম আল দীন পুরস্কার পান। এই সিনেমায় অভিনয় করে প্রথমবারের মতো সেরা পার্শ্বঅভিনেত্রীর পুরস্কার পান তমলিকা কর্মকার, একই চলচ্চিত্রের জন্য চিত্র সম্পাদক সুজন মাহমুদ, শিল্প নির্দেশক তরুণ ঘোষ, শব্দগ্রাহক নাসিম রেজা শাহ পুরস্কৃত হন। ‘দুই দুয়ারি’ সিনেমার জন্য রিয়াজ আহমেদ, গায়িকা পুরস্কার হন সাবিনা ইয়াসমিন, চিত্রগ্রাহক মাহফুজুর রহমান পুরস্কার পান। পার্শ্বঅভিনেতা রাজিব (বিদ্রোহ চারিদিকে), গায়ক এন্ড্রু কিশোর (আজ গায়ে হলুদ), মেকাপম্যান খলিলুর রহমান (যোদ্ধা) সেরা নির্বাচিত হন।
ঢালিউড ইনফোটেইনমেইন্ট
তানভীর মোকাম্মেলের চলচ্চিত্র ‘লাল সালু’ ২০০১ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে সেরা চলচ্চিত্র শাখায় পুরস্কার জেতে। সিনেমাটির কাহিনীকার সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ, পরিচালক, সংলাপ রচয়িতা তানভীর মোকাম্মেল, অভিনেতা রাইসুল ইসলাম আসাদ, পার্শ্বঅভিনেত্রী চাঁদনী, চিত্রগ্রাহক আনোয়ার হোসেন, শব্দগ্রাহক রতন পাল পুরস্কার পান। নারগিস আক্তার ‘মেঘলা আকাশ’-এর জন্য চিত্রনাট্যকারের পুরস্কার পান। একই সিনেমার জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী ও সেরা খল অভিনেতার পুরস্কার পান মৌসুমী ও শহীদুল আলম সাচ্চু। সেরা কৌতুক অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান (চুড়িওয়ালা), সঙ্গীত পরিচালক আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল (প্রেমের তাজমহল), সুরকার সত্য সাহা (চুড়িওয়ালা), গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার (চুড়িওয়ালা), গায়ক মনির খান (প্রেমের তাজমহল), গায়িকা কনক চাঁপা (প্রেমের তাজমহল), চিত্রগ্রাহক মুজিবুর রহমান দুলু (মেঘলা আকাশ), চিত্রগ্রাহক (যৌথভাবে) আবুল খায়ের (শ্বশুড়বাড়ি জিন্দাবাদ), শিল্প নির্দেশক মহিউদ্দিন ফারুক (মেঘলা আকাশ), নৃত্য পরিচালক আমিন হোসেন বাবু (মেঘলা আকাশ) এবং শিশুশিল্পী শাখায় ‘বিচ্চু বাহিনী’র জন্য পুরস্কার অর্জন করেন শোভন, শিপু, শান্তনু, টুইঙ্কেল, রিনি ও রাজিব।

২০০২ সালে সেরা চলচ্চিত্র ‘হাসন রাজা’-এর জন্য প্রযোজক হেলাল খান, শ্রেষ্ঠ পরিচালক কাজী হায়াৎ (ইতিহাস), চিত্রনাট্যকার তারেক মাসুদ (মাটির ময়না), অভিনেতা কাজী মারুফ (ইতিহাস), খল অভিনেতা হেলাল খান (জুয়াড়ি), পার্শ্বঅভিনেত্রী ববিতা (হাসন রাজা), সঙ্গীত পরিচালক সুজেয় শ্যাম (হাসন রাজা), সুরকার আলাউদ্দিন আলী (লাল দরিয়া), গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার (লাল দরিয়া), গায়ক মুনির খান (লাল দরিয়া), গায়িকা উমা খান (হাসন রাজা), চিত্র সম্পাদক মুজিবুর রহমান দুলু (ইতিহাস), চিত্রগ্রাহক শহিদুল্লাহ দুলাল (হাসন রাজা), শিল্প নির্দেশক উত্তম গুহ (হাসন রাজা), মেকাপম্যান রহমান (হাসন রাজা), শিশুশিল্পী রাসেল ফরাজী (মাটির ময়না), শিশুশিল্পী শাখায় বিশেষ পুরস্কার নুরুল ইসলাম বাবলু (মাটির ময়না) পুরস্কার অর্জন করেন।
ঢালিউড ইনফোটেইনমেইন্ট
‘আধিয়ার’ সিনেমার জন্য ২০০২ সালে কাহিনীকারের পুরস্কার পান গিয়াস উদ্দিন সেলিম। এছাড়া পুরস্কার অর্জন করেন অভিনেতা মান্না (বীর সৈনিক), অভিনেত্রী পপি (কারাগার), পার্শ্বঅভিনেতা যুগ্মভাবে রাজিব (মরণোত্তর), সোহেল রানা ‘সাহসী মানুষ চাই’-এর জন্য, পার্শ্বঅভিনেত্রী সাথী (বীর সৈনিক), খল অভিনেতা যুগ্মভাবে কাবিল (অন্ধকার) ও শানু (বউ শাশুড়ির যুদ্ধ), ‘তুমি শুধু আমার’ সিনেমার জন্য কৌতুক অভিনেতা দিলদার (মরণোত্তর), গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার (কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি), গায়ক বশির আহমেদ (কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি), গায়িকা বেবী নাজনীন (সাহসী মানুষ চাই), চিত্রগ্রাহক মাকসুদুল বারী (আধিয়ার), শিল্প নির্দেশক কলন্তর (দুই বধূ এক স্বামী), শিশুশিল্পী প্রিয়াংকা (কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি)।

২০০৪ সালে চলচ্চিত্র ‘জয়যাত্রা’র জন্য প্রযোজক তৌকির আহমেদ পুরস্কার জিতেন। সেরা অভিনেতা হুমায়ূন ফরীদি (মাতৃত্ব), অভিনেত্রী অপি করিম (ব্যাচেলর), পার্শ্বচরিত্রে অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবু (শক্সখনাদ), পার্শ্বচরিত্রে অভিনেত্রী মেহবুবা মাহনুর চাঁদনী (জয়যাত্রা), সঙ্গীত পরিচালক সুজেয় শ্যাম (জয়যাত্রা), শিশুশিল্পী মাস্টার অমল (দূরত্ব), কাহিনীকার আমজাদ হোসেন (জয়যাত্রা), গায়ক সুবীর নন্দী (মেঘের পরে মেঘ), ‘জয়যাত্রা’র জন্য চিত্রগ্রাহক রফিকুল বারী চৌধুরী (মরণোত্তর), চিত্র সম্পাদক জুনায়েদ হালিম (শক্সখনাদ), শিল্প নির্দেশক উত্তম গুহ (লালন), মেকাপম্যান মম জসীম (একখণ্ড জমি) পুরস্কার অর্জন করেন।


২০০৫ সালের শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র ‘হাজার বছর ধরে’-এর জন্য প্রযোজক কোহিনূর আখতার সূচন্দা, অভিনেতা মাহফুজ আহমেদ (লাল সবুজ), অভিনেত্রী শাবনূর (দুই নয়নের আলো), পার্শ্বচরিত্রে অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন (শাস্তি), পার্শ্বচরিত্রে অভিনেত্রী গুলশান আরা আখতার চম্পা (শাস্তি), সঙ্গীত পরিচালক আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল (হাজার বছর ধরে), শিশুশিল্পী হৃদয় ইসলাম (টাকা), ‘হাজার বছর ধরে’-এর কাহিনীকার জহির রায়হান (মরণোত্তর), গায়িকা সাবিনা ইয়াসমিন (দুই নয়নের আলো), চিত্রগ্রাহক মাহফুজুর রহমান খান (হাজার বছর ধরে), শিল্প নির্দেশক মোহাম্মদ কলন্তর (হাজার বছর ধরে)।

কাজী মোরশেদ প্রযোজিত ‘ঘানি’ চলচ্চিত্র পুরস্কার পায় ২০০৬ সালে। এ বছর আরও পুরস্কার পান অভিনেতা আরমান পারভেজ মুরাদ (ঘানি), অভিনেত্রী নাজনিন হাসান চুমকি (ঘানি), পার্শ্বচরিত্রে অভিনেতা মাসুম আজিজ ও রাইসুল ইসলাম আসাদ (ঘানি), পার্শ্বচরিত্রে অভিনেত্রী ডলি জহুর (ঘানি), সঙ্গীত পরিচালক শেখ শাদী খান (ঘানি), শিশুশিল্পী দিঘী (কাবুলিওয়ালা), কাহিনীকার, চিত্রনাট্যকার ও সংলাপ রচয়িতা কাজী মোরশেদ (ঘানি), গায়ক আসিফ আকবর (রানীকুঠির বাকী ইতিহাস), চিত্রগ্রাহক- হাসান আহমেদ (ঘানি), সম্পাদক সাইফুল ইসলাম (ঘানি)।
ঢালিউড ইনফোটেইনমেইন্ট
২০০৭ সালে ‘দারুচিনি দ্বীপ’ পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের পুরস্কার অর্জন করে। এছাড়া পুরস্কার অর্জন করেন পরিচালক এনামুল করিম নির্ঝর (আহা!), অভিনেতা রিয়াজ আহমেদ (দারুচিনি দ্বীপ), অভিনেত্রী জাকিয়া বারী মম (দারুচিনি দ্বীপ), পার্শ্বচরিত্রে অভিনেতা আবুল হায়াত (দারুচিনি দ্বীপ), পার্শ্বচরিত্রে অভিনেত্রী নিপুণ (সাজঘর), সঙ্গীত পরিচালক এসআই টুটুল (দারুচিনি দ্বীপ), নৃত্য পরিচালক কবিরুল ইসলাম রতন (দারুচিনি দ্বীপ), চিত্রনাট্যকার হুমায়ূন আহমেদ (দারুচিনি দ্বীপ), গায়ক - এন্ড্রু কিশোর (সাজঘর), গায়িকা ফাহমিদা নবী (আহা!), গীতিকার মুন্সী ওয়াদুদ (সাজঘর), চিত্রগ্রাহক সাইফুল ইসলাম বাদল (আহা!)।

২০০৮ সালে শ্রেষ্ঠ পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘চন্দ্রগ্রহণ’-এর জন্য পুরস্কার পান স আজম ফারুক। এছাড়া পুরস্কার অর্জন করেন পরিচালক মুরাদ পারভেজ (চন্দ্রগ্রহণ), অভিনেতা রিয়াজ আহমেদ (কি যাদু করিলা), অভিনেত্রী সাদিকা পারভীন পপি (মেঘের কোলে রোদ), ‘স্বপ্নপূরণ’ সিনেমার পার্শ্বচরিত্রে অভিনেতা শামস-ইবনে ওবায়েদ (শামস্ সুমন), পার্শ্বচরিত্রে অভিনেত্রী দিলারা জামান এবং চম্পা (চন্দ্রগ্রহণ), খলচরিত্রে অভিনেতা জহির উদ্দিন পিয়ার (চন্দ্রগ্রহণ), সঙ্গীত পরিচালক ইমন সাহা (চন্দ্রগ্রহণ), সুরকার আলম খান (কি যাদু করিলা), নৃত্য পরিচালক মাসুম বাবুল (কি যাদু করিলা), শিশুশিল্পী প্রার্থনা ফারদীন দীঘি (১ টাকার বউ), কাহিনীকার মোহাম্মদ রফিকুজ্জামান (মেঘের কোলে রোদ), চিত্রনাট্যকার মুরাদ পারভেজ (চন্দ্রগ্রহণ), সংলাপ রচয়িতা মুরাদ পারভেজ (চন্দ্রগ্রহণ), গায়ক এন্ড্রু কিশোর (কি যাদু করিলা), গায়িকা রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা (১ টাকার বউ), গীতিকার কবির বকুল (মেঘের কোলে রোদ), চিত্রগ্রাহক মাহফুজুর রহমান খান (আমার আছে জল), শব্দগ্রাহক রেজাউল করিম বাদল (কি যাদু করিলা), সম্পাদনা মো. শহিদুল হক (কি যাদু করিলা), শিল্প নির্দেশক মোহাম্মদ কলন্তর (মেঘের কোলে রোদ), মেকাপম্যান মো. শামছুল ইসলাম (মেঘের কোলে রোদ), মেকাপম্যান মো. শামছুল ইসলাম (মেঘের কোলে রোদ), শিশু শিল্পী শাখায় বিশেষ শাখায় মৃধা ইবশার নাওয়ার ওয়াফা (আমার আছে জল)।

২০০৯ সালে আজীবন সম্মাননা পান সুলতানা জামান, চলচ্চিত্র মনপুরা (প্রযোজক অঞ্জন চৌধুরী), পরিচালক সৈয়দ অহিদুজ্জামান ডায়মন্ড (গঙ্গাযাত্রা), অভিনেতা ফেরদৌস (গঙ্গাযাত্রা) ও চঞ্চল চৌধুরী (মনপুরা), অভিনেত্রী সাদিকা পারভীন পপি (গঙ্গাযাত্রা), পার্শ্বচরিত্রে অভিনেতা শহীদুল আলম সাচ্চু (বৃত্তের বাইরে), পার্শ্বচরিত্রে অভিনেত্রী নিপুণ (চাঁদের মতো বউ), খলচরিত্রে অভিনেতা মামুনুর রশীদ (মনপুরা), কৌতুক অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান (মন বসে না পড়ার টেবিলে), সঙ্গীত পরিচালক আলম খান (এবাদত), সুরকার কুমার বিশ্বজিৎ (স্বামী-স্ত্রীর ওয়াদা), শিশু শিল্পী সৈয়দা সাবরিনা (গঙ্গাযাত্রা), শিশুশিল্পী শাখায় বিশেষ পুরস্কার জারকান (প্রিয়তমেষু), কাহিনীকার সৈয়দ অহিদুজ্জামান ডায়মন্ড (গঙ্গাযাত্রা), চিত্রনাট্যকার গিয়াসউদ্দিন সেলিম (মনপুরা), সংলাপ রচয়িতা মুজতবা সউদ (চাঁদের মত বউ), গায়ক কুমার বিশ্বজিৎ (স্বামী-স্ত্রীর ওয়াদা), গায়িকা চন্দনা মজুমদার ও কাজী কৃষ্ণকলি ইসলাম, গীতিকার কবির বকুল (স্বামী-স্ত্রীর ওয়াদা), চিত্রগ্রাহক মাহফুজুর রহমান খান (বৃত্তের বাইরে), শব্দগ্রাহক সুজন মাহমুদ (বৃত্তের বাইরে), চিত্র সম্পাদক জুনায়েত হালিম (বৃত্তের বাইরে), শিল্প নির্দেশক মোহাম্মদ কলন্তর (গঙ্গাযাত্রা), মেকাপম্যান খলিলুর রহমান (গঙ্গাযাত্রা), পোশাক ও সাজসজ্জা দিলীপ সিং (গঙ্গাযাত্রা) পুরস্কার অর্জন করে।
ঢালিউড ইনফোটেইনমেইন্ট
সর্বশেষ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার দেওয়া হয়েছে ২০১১ সালে। ২০১০ সালে মুক্তি পাওয়া সিনেমাগুলো মধ্যে থেকে সেরা চলচ্চিত্র বাছাই করে জুরি বোর্ড এ নির্বাচিতদের নাম ঘোষণা করেন। এ বছর আজীবন সম্মাননা অর্জন করেন আনোয়ার হোসেন। শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্বাচিত হয় ‘গহীনে শব্দ’ (প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ইমপ্রেস টেলিফিল্ম), পরিচালক খালিদ মাহমুদ মিঠু (গহীনে শব্দ) অভিনেতা শাকিব খান (ভালোবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না), অভিনেত্রী পূর্ণিমা (ওরা আমাকে ভাল হতে দিল না), পার্শ্বচরিত্রে অভিনেতা এম এ আলমগীর (জীবন মরণের সাথী), পার্শ্বচরিত্রে অভিনেত্রী রোমানা ইসলাম (ভালোবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না), খলচরিত্রে অভিনেতা মিজু আহমেদ (অবুঝ বউ), কৌতুক অভিনেতা আফজাল শরীফ (নিঃশ্বাস আমার তুমি), সঙ্গীত পরিচালক সুজেয় শ্যাম (অবুঝ বউ), সুরকার শেখ সাদী খান (ভালবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না), নৃত্য পরিচালক ইমদাদুল হক খোকন (মোঘল-এ-আজম), শিশুশিল্পী দীঘি (চাচ্চু আমার চাচ্চু), কাহিনীকার জাকির হোসেন রাজু (ভালবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না), চিত্রনাট্যকার নার্গিস আক্তার (অবুঝ বউ), সংলাপ রচয়িতা জাকির হোসেন রাজু (ভালবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না), গায়ক এসআই টুটুল (ভালবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না), গায়িকা শাম্মী আক্তার (ভালবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না), গীতিকার কবির বকুল (নিঃশ্বাস আমার তুমি), চিত্রগ্রাহক হাসান আহমেদ (গহীনে শব্দ), শব্দগ্রাহক কাজী সেলিম (গহীনে শব্দ), সম্পাদনা মজিবুর রহমান দুলু (অবুঝ বউ), শিল্প নির্দেশক মহিউদ্দীন ফারুক (অবুঝ বউ), মেকাপম্যান আবদুর রহমান (মনের মানুষ), পোশাক বিবি রাসেল (মনের মানুষ)।

Tuesday, October 23, 2012

ঈদুল আজহায় মুক্তি পেতে যাওয়া সম্ভাব্য সিনেমা

ঢালিউড ইনফোটেইনমেইন্ট::
প্রেক্ষাগৃহে এবারের ঈদুল আজহায় মুক্তি পেতে যাওয়া সম্ভাব্য ছবিগুলো হলো: 
১. এফ আই মানিক পরিচালিত ‘স্বামীভাগ্য’, 
২. বদিউল আলম খোকন পরিচালিত ‘ডন নম্বর ওয়ান’ 
৩. বদিউল আলম খোকন পরিচালিত ‘১০০% লাভ—বুক ফাটে তো মুখ ফোটে না’, 
৪. শাহাদত্ হোসেন লিটন পরিচালিত ‘জিদ্দি মামা’ এবং 
৫. ডি হোসেন পরিচালিত ‘লাভ ইন জঙ্গল’

টেলিভিশনে প্রিমিয়ার হতে যাওয়া দুটি ছবি হলো: 
১. সাদেক সিদ্দিকীর ‘শিউলিমণি’ 
২. আবুল কালাম আজাদের ‘জিদ্দি বউ’।
 

বন্ধ হচ্ছে রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী 'পদ্মা ও সুরমা' প্রেক্ষাগৃহ দুটি

ঢালিউড ইনফোটেইনমেইন্ট::
প্রেক্ষাগৃহ বন্ধের তালিকায় এবার যুক্ত হচ্ছে রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী 'পদ্মা ও সুরমা' প্রেক্ষাগৃহ দুটি। ১৯৮৮ সালে রামপুরায় ১৫ বিঘা জায়গার ওপর প্রতিষ্ঠিত এ প্রেক্ষাগৃহ দুটির কর্ণধার হচ্ছেন চলচ্চিত্রকার শফী বিক্রমপুরী। মালিক সূত্রে জানা গেছে, চলচ্চিত্রের ব্যবসা মন্দা হওয়ায় লোকসান গুনে প্রেক্ষাগৃহ দুটি আর টিকিয়ে রাখাসম্ভব হচ্ছে না। একটি সূত্র জানায়, প্রেক্ষাগৃহের স্থানে বহুতল বাণিজ্যিক ও আবাসিক ভবন নির্মাণের জন্য একটি ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলাপ চলছে। এখানে ২৫ তলা ভবন নির্মাণ করা হবে। নিচের ছয়তলা পর্যন্ত থাকবে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, সাততলা থেকে ২৫ তলা পর্যন্ত আবাসিক ভবন। এদিকে রাজধানীসহ সারা দেশে অব্যাহতভাবে প্রেক্ষাগৃহ বন্ধেরঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন চলচ্চিত্রকার ও দর্শকরা। তাদের কথায়, এভাবে প্রেক্ষাগৃহ বন্ধ হতে থাকলে এ দেশে চলচ্চিত্র প্রদর্শন হবে কোথায়? দেশে থাকা ১২শ'র অধিক প্রেক্ষাগৃহের মধ্যে গত ১০ বছরে বন্ধ হতে হতে বর্তমানেএ সংখ্যা ৬শ'র নিচে এসে ঠেকেছে। একই সময় রাজধানীতে থাকা প্রায় ৪৩টি প্রেক্ষাগৃহের মধ্যে বন্ধ হয়ে বর্তমানে ৩২টিতে দাঁড়িয়েছে। অচিরেই বন্ধ হচ্ছে অভিসার, পুনম ওনেপচুন প্রেক্ষাগৃহ।
সুত্র: বাংলাদেশপ্রতিদিন

Monday, October 22, 2012

JPS প্রোডাকশন নিবেদিত: SUPER MODEL

সিনেমার নাম: SUPER MODEL

প্রযোজনা: JPS প্রোডাকশন নিবেদিত
পরিচালনা: জাবেদ পাটোয়ারী ও নাসিম সাহ্নিক
Curious ফিল্ম   presents 

ছবিঃ ঢালিউড ইনফোটেইনমেইন্ট

Dhallywood || বাংলাদেশী সিনেমার প্রতিচ্ছবি

Sunday, October 21, 2012

সিনেমার নাম: পারলে ঠেকা; অভিনয়ে: জয়া আহসান

সিনেমার নাম: পারলে ঠেকা

সিনেমার নাম: পারলে ঠেকা

সিনেমার নাম: পারলে ঠেকা

সিনেমার নাম: পারলে ঠেকা

সিনেমার নাম: পারলে ঠেকা

সিনেমার নাম: পারলে ঠেকা

Saturday, October 20, 2012

আড়মোড়া ভেঙে আসছেন ‘মেহেরজান’ খ্যাত "শায়না"

ছবি: ঢালিউড ইনফোটেইনমেইন্ট

ঢালিউড ইনফোটেইনমেইন্ট:: ‘মেহেরজান’ খ্যাত অভিনেত্রী শায়না আমিন। আবারও মিডিয়ায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন এই মডেল-অভিনেত্রী। মডেলিংয়ের মাধ্যমে মিডিয়ায় অভিষেক হয়েছিল তার। এরপর টিভি নাটকে হাতেখড়ি।

মিডিয়ায় তার পরিচিতি ঘটে রুবাইয়াত হোসেনের `মেহেরজান` চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে। আগামী ১৪ ডিসেম্বর আসছে মাসুদ আখন্দের পরিচালনায় তার অভিনীত দ্বিতীয় ছবি ‘পিতা’। এ ছবিতে শায়নার বিপরীতে অভিনয় করেছেন মডেল-অভিনেতা কল্যাণ। ছবিটির গল্পের প্রেক্ষাপট গ্রামীণ জীবন।

ছবিটি নিয়ে শায়না বাংলানিউজকে বলেন, “এ ছবিতে পল্লবী নামের সদ্য বিবাহিতার চরিত্রে অভিনয় করেছি। যুদ্ধের সময় দেশের হিন্দু পরিবারগুলোর মধ্যে এক ধরণের ভয় কাজ করত। কারণ তারা সংখ্যালঘু। এমন কিছু পরিবারকে ঘিরে গড়ে ওঠেছে এ ছবির গল্প। বিশেষ করে আমার অভিনীত পল্লবী চরিত্রটি আমি সত্যিই খুব উপভোগ করেছি। কারণ প্রতিটি মুহূর্তে চরিত্রটি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। কাহিনী ধারাবাহিকভাবে পরিবর্তন হয়েছে আর আমিও নিজেকে প্রতিটি মুহূর্তে চরিত্রের প্রয়োজনে বদলে নিতে পেরেছি।”

shina
ছবি: ঢালিউড ইনফোটেইনমেইন্ট


শায়নার জন্ম সৌদি আরবে। বেড়ে ওঠা ঢাকার লালমাটিয়ায়। সপ্তম শ্রেণীতে পড়ার সময়ই নাচ শিখতে ভর্তি হন নৃত্যাঙ্গনে। ঝমঝম নূপুর বাজে পায়ে। স্বপ্নগুলোও রঙিন হয়ে ওঠে তার।

বরাবরই ভালো কাজ দিয়ে ধীরগতিতে চলা পছন্দ তার। মডেলিংয়ের ইচ্ছায় একবার নিজের ছবি জমা দেন বিভিন্ন বিজ্ঞাপন সংস্থায়। একদিন ডাক আসে বিজ্ঞাপনচিত্র নির্মাতা কিসলু হায়দারের কাছ থেকে। সানসিল্কের একটি বিজ্ঞাপনচিত্রের মডেল হিসেবে নেওয়া হয় তাকে। সেই থেকেই শুরু তারার ভুবনে তার পথচলা।

২০০৫ সালে দশম শ্রেণীতে ওঠার পরই টিভি পর্দায় অভিষেক। সময় গড়াল, সেই সঙ্গে শায়নার কাজের সংখ্যাও বাড়ল। অমিতাভ রেজা, আফসানা মিমির পরিচালনায় বেশ কিছু বিজ্ঞাপনচিত্রের মডেল হলেন তিনি।

বর্তমানে প্রচারিত বেশ কিছু বিজ্ঞাপনচিত্রে দেখা যাচ্ছে তার মুখ। এরমধ্যে প্যারাসুট, আইসকুল পাউডার, আপন জুয়েলার্স এবং চন্দন ফেসওয়াশ অন্যতম।

এরপর টিভি নাটকে অভিনয়ের পালা। বদরুল আনাম সৌদ পূরণ করলেন সে ইচ্ছা। সৌদের `ক্রস কানেকশন` নাটক দিয়েই অভিনয়ে অভিষেক। এরপর একে একে অভিনয় করেছেন আবু আল সায়ীদের `প্রেমের অঙ্ক`, `এলমি নো`, আরিফ খানের `মন উচাটন`সহ বেশ কিছু একক নাটকে।

এছাড়া মাছরাঙা টিভিতে নিয়মিত প্রচার হচ্ছে শায়না আমিন অভিনীত ও পল্লব বিশ্বাস পরিচালিত ধারাবাহিক নাটক ‘কলেজ’।

ক্যারিয়ারের টা‍র্নিং পয়েন্ট জ‍ানতে চাইলে শায়না বলেন, “প্রথম টার্নিং পয়েন্ট আমার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ‘মেহেরজান’। পরেরটি গত বছর প্রকাশ হয় সংগীতশিল্পী শহীদের একক অ্যালবাম `এক জীবন`। এতে কলকাতার গায়িকা শুভমিতার সঙ্গে গাওয়া `এক জীবন` শিরোনামের গানটির মিউজিক ভিডিওটি। আমি অনেক বেশি রেসপন্স পেয়েছি এবং আমাদের দেশের মিউজিক ভিডিও অনেক মডেল আগে করতে চাইত না। কিন্তু এটারও এখন পরিবর্তন এসেছে।”

shina
ছবি: ঢালিউড ইনফোটেইনমেইন্ট


এবারের ঈদেও শায়না অভিনীত একটি নাটক প্রচার হবে। বদরুল আনাম সৌদের লেখা ও জামিনের পরিচালনায় এ নাটকটির নাম ‘বেকার কারকে নিয়ে যে গল্প শুরু’। একটি গাড়িকে কেন্দ্র করে একটি পরিবারের সম্পর্ক তৈরি এবং তার ভাঙন দেখানো হয়। এ নাটকে শায়না ছাড়া অভিনয় করেছেন সুবর্ণা মুস্তাফা, জিতু আহসান, সাজু থাদেম, চিত্রলেখা গুহসহ আরো অনেকে।

এ নাটকটি নিয়ে শায়না বললেন, “চমৎকার গল্প। আমি অনেক বেছে কাজ করতে পছন্দ করি। এখানে একটি গাড়িকে কেন্দ্র করে আমার পরিবারের সাথে অন্য একটি পরিবারের পরিচয় ঘটে। এরপর ওই পরিবারের ছেলে আমাকে দেখে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয়। এরপর নানা মজার ঘটনা, বলতে চাই না। আশা করি, দর্শকদের ভালো লাগবে।”

গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর প্রেমিক আসাদুজ্জামান সেতুকে বিয়ে করার পর মিডিয়া থেকে প্রায় সরেই ছিলেন শায়না। সম্প্রতি তিনি আবারও তার কাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তারা দু’জনই এখন পড়াশোনা করছেন। সেতু একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ শেষ বর্ষে এবং শায়না লালমাটিয়া কলেজে ব্যবস্থাপনা বিভাগে ২য় বর্ষে পড়ছেন।

বর্তমানে আবার নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করেছেন শায়না। সম্প্রতি নার্গিস আকতারের পরিচালনায় ‘পুত্র এখন পয়সাওয়ালা` ছবির শুটিং শেষ করেছেন। এ বছরই ছবিটি মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে। এ ছবিতে তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন ইমন।

মিডিয়ায় আবারও ব্যস্ত হওয়া প্রসঙ্গে শায়না জানান, পারিবারিক ব্যস্ততার কারণেই তিনি দীর্ঘদিন অভিনয়ের বাইরে ছিলেন। পারিবারিক ঝামেলা অনেকটাই কেটে গেছে। তাই আবারো কাজ শুরু করেছেন। একবারেই বেশি বেশি কাজ না করে তিনি ভালো গল্পের নাটক ও চলচ্চিত্রে কাজ করতে চান।

ঢালিউড || Up Coming - সিনেমার নাম: পারলে ঠেকা

সিনেমার নাম: পারলে ঠেকা
অভিনয়ে: জয়া আহসান
প্রযোজনা:
পরিচালনা: মারুফ

গান: জয়া আহসান
মিউজিক: জায়াদ পারভেজ
আসছে ....


Movie Name: Parley Theka
Artist: Joya Ahsan
Producer: 
Director: Maruf  
Song: Joya Ahsan 
Music: Jawad Parvez 

Coming soon.... 



.........Dhallywoodinfo || বাংলাদেশী সিনেমার প্রতিচ্ছবি 

Thursday, October 18, 2012

দুই উৎসব—কোরবানির ঈদ আর দুর্গাপূজা উপলক্ষে মুক্তি পেতে যাচ্ছে চাষী নজরুল ইসলামের নতুন ছবি দেবদাস

ছবি: ঢালিউড ইনফোটেইনমেইন্ট
ঢালিউড ইনফোটেইনমেইন্ট:: একসঙ্গে দুই উৎসব—কোরবানির ঈদ আর দুর্গাপূজা উপলক্ষে মুক্তি পেতে যাচ্ছে চাষী নজরুল ইসলামের নতুন ছবি দেবদাস। ছবিটির কয়েকটি দৃশ্যের ব্যাপারে আপত্তি ছিল চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের। পরিচালক জানান, গত বৃহস্পতিবার তা মিটে গেছে।
চাষী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘দেবদাস ছবিতে শহীদুজ্জামান সেলিমের পোশাক নিয়ে সেন্সর বোর্ড আপত্তি জানায়। পরে তা বাদ দিয়ে আবার ছবিটি সেন্সর বোর্ডে জমা দিয়েছি। আশা করছি, দু-এক দিনের মধ্যে আমরা ছাড়পত্র পেয়ে যাব।’
এদিকে চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আপিল বোর্ড থেকে বৃহস্পতিবার পরিচালককে সবুজসংকেত দেওয়া হয়েছে। এখন পরিচালক ছবিটি মুক্তি দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে পারবেন।
দেবদাস মুক্তির ব্যাপারে ঈদ ও পূজাকে বেছে নেওয়ার কারণ হিসেবে চাষী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এত কাছাকাছি সময়ে দুটি বড় উৎসব সচরাচর পাওয়া যায় না। তাই দেবদাস মুক্তি দেওয়ার জন্য আমরা এই সময়কে বেছে নিয়েছি।’
শাকিব খান, মৌসুমী, অপু বিশ্বাস ও শহীদুজ্জামান সেলিমকে নিয়ে দেবদাস ছবির শুটিং শুরু হয় ২০১০ সালে।
গত শতকের আশির দশকে বুলবুল আহমেদ, কবরী, আনোয়ারা ও রহমানকে নিয়ে দেবদাস নির্মাণ করেছিলেন চাষী নজরুল ইসলাম। ওই ছবিটি ছিল সাদাকালো। আবারও একই কাহিনি নিয়ে ছবি তৈরি করেছেন তিনি। এবারের ছবিটি রঙিন।

Wednesday, October 17, 2012

কারামুক্তি পেল দেবদাস

ছবি: ঢালিউড ইনফোটেইনমেইন্ট
ঢালিউড ইনফোটেইনমেইন্ট:: দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর সেন্সর ছারপত্র পেল চাষী নজরুল ইসলামের নতুন ছবি ‘দেবদাস’। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কালজয়ী উপন্যাস ‘দেবদাস’ নিয়ে নির্মিত বহুল আলোচিত এ ছবির গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র চুনীলাল-এর পোশাক সংক্রান্ত জটিলতার কারণে চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড ছবিটির ছাড়পত্র দিতে আপত্তি জানায়। পরে ছবির প্রযোজনা সংস্থা ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লি. সেন্সর বোর্ডের আপিল বোর্ডে আবেদন করে। আপিল বোর্ডের বিজ্ঞ সদস্যরা ছবিটি দেখে ছাড়পত্র প্রদানে অনাপত্তি প্রকাশ করলেও সেন্সর বোর্ড দীর্ঘদিন ছাড়পত্র প্রদান করা থেকে বিরত থাকে। শেষ পর্যন্ত সোমবার সেন্সর বোর্ড ছবিটি সারা দেশে অবাধ প্রদর্শনের জন্য ছাড়পত্র প্রদান করে।
এ প্রসঙ্গে পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘দেবদাস’-এর কারামুক্তি ঘটেছে। তিনি বলেন, বিনা দোষে কারাভোগের পর ছবিটি এখন মুক্ত। আমি আশা করছি ‘দেবদাস’ সারা দেশের সিনেমাপ্রেমী দর্শকদের মন জয় করবে। সুস্থধারার চলচ্চিত্র নির্মাণ প্রতিষ্ঠান ইমপ্রেস টেলিফিল্মের প্রযোজনায় নির্মিত বাংলাদেশে দ্বিতীয়বারের মতো নির্মিত ‘দেবদাস’ ছবির নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন শাকিব খান। পার্বতী চরিত্রে অপু বিশ্বাস, চন্দ্রমুখী চরিত্রে মৌসুমী এবং চুনীলাল চরিত্রে শহীদুজ্জামান সেলিম অভিনয় করেছেন। ছবিতে আরও অভিনয় করেছেন মহম্মদ হান্‌নান, খলিলুর রহমান কাদরীসহ অনেকেই। ছবির চিত্রগ্রহণ করেছেন জেডএইচ মিন্টু, সংগীত ইমন সাহা। মুক্তির আগেই ব্যাপকভাবে আলোচিত ছবি ‘দেবদাস’ যে কোন উৎসবমুখর দিনে মুক্তি পাবে বলে প্রযোজনা সংস্থা ইমপ্রেস টেলিফিল্ম সূত্রে জানা গেছে।

২৭ বছর পর আবারো ‘দেবদাস’

ঢালিউড ইনফোটেইনমেইন্ট:: ২৭ বছর পর আবারো ‘দেবদাস’ ছবিটি রিমেক করছেন এর পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম। তবে এবার আর সাদাকালোতে নয়, দেবদাস বানানো পুরোপুরি রঙিন আকারে। আগের নায়ক বুলবুল আহমেদের স্থলে অভিনয় করবেন শাকিব খান।

সিনেমার নাম: দেবদাস (রঙিন)
অভিনয়ে: শাকিব খান (দেবদাস), অপু বিশ্বাস (পার্বতী), মৌসুমী (চন্দ্রমুখী) এবং শহীদুজ্জামান সেলিম (চুনীলাল) প্রমুখ
প্রযোজনা: ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লিমিটেড
পরিচালনা: চাষী নজরুল ইসলাম


ছবির প্রথম নায়ক বুলবুল আহমেদ বলেন, “চাষী নজরুলকে দেখে আমার হিংসে হচ্ছে। কারণ তিনি দুবার দেবদাস বানাবেন। অথচ আমি দেবদাস হয়েছি একবার। এখন বয়সের কারণে পিছিয়ে পড়েছি। আশা করছি নতুনরা এটাকে ভালোভাবে করতে পারবে।”

অপু বিশ্বাসের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ

ঢালিউড ইনফোটেইনমেইন্ট:: চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়েছে। এনবিআরের প্রাথমিক তদন্তে তার কর ফাঁকির বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। এনবিআর আরও জানায়, তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। অপু বিশ্বাস অবশ্য তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, কে বা কারা এনবিআরের কাছে তার বিরুদ্ধে অসত্য অভিযোগ করেছে। পুরো ব্যাপারটি ভুল বোঝাবুঝি ছাড়া আর কিছুই নয়।

অপু বিশ্বাস তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করলেও এনবিআর জানায়, তিনি বিরাট অঙ্কের আয়কর ফাঁকি দিয়েছেন। ৩০ জানুয়ারি এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেলে তাকে ডেকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি এটা তার অনিচ্ছামূলক ভুল বলে জানিয়ে শীঘ্রই অপরিশোধিত কর পরিশোধের অঙ্গীকার করেন। এনবিআর জানায়, অপুর ৫ বছরের ব্যাংক হিসাব তলব করে যাচাই করা হয়। এতে বড় ধরনের গরমিল এবং আয়কর রিটার্নে তার উল্লেখিত প্রতি মাসের আয় ও স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির যে হিসাব উল্লেখ করেছেন, তার সঙ্গে বাস্তব আয় ও সম্পদের বিস্তর পার্থক্য রয়েছে। চলচ্চিত্রে অভিনয় হিসেবে যে পারশ্রমিক পান তার প্রকৃত অঙ্কও তিনি গোপন করেন এবং কর ফাঁকি দেন। যা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। সূত্র জানায়, অপুর একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকলেও তা তিনি আয়কর রিটার্নে উল্লেখ করেননি। তিনি জমি ও ফ্ল্যাট ক্রয় বাবদ যে মূল্য প্রদর্শন করেছেন প্রকৃত অর্থে ব্যাংক চেকের মাধ্যমে পরিশোধের অর্থের অংশ অনেক বেশি। কর ফাঁকি ছাড়াও অপু বিশ্বাস রেজিস্ট্রেশন ফি আত্মসাৎ করেছেন। ব্যাংকে তার নামে কোটি টাকার এফডিআর রয়েছে। এনবিআরের তথ্য মতে, গত ৩ বছরে অপু ৪০ লক্ষাধিক টাকার কর ফাঁকি দিয়েছেন। সার্বিক বিষয় তদন্তে অবগত হয়ে ১৭ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেলের উপ-পরিচালক শারমিন নাজ এনবিআর চেয়ারম্যানের অনুমোদন সাপেক্ষে আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪-এর ১১৭(৪) ধারা মোতাবেক ব্র্যাক ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের শাখা ব্যবস্থাপক বরাবরে জরুরি চিঠি প্রেরণ করে অপু বিশ্বাসের সব হিসাব বন্ধের অনুরোধ জানান। এর পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংক অপুর সঞ্চয়ী হিসাব নং ১৫০১১০০৬৯০৩৪১০০১সহ ৪টি মেয়াদি হিসাব এবং ৩টি ঋণ হিসাব জব্দ করে। এনবিআরের মতে এক্ষেত্রে আরও তদন্ত এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এদিকে এ বিষয়ে অপু বিশ্বাসের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বিষয়টিকে তার বিরুদ্ধে কোনো মহলের ষড়যন্ত্র এবং অনিচ্ছাকৃতভাবে কর অপরিশোধের ঘটনা বলে জানান। এছাড়া আর কিছু বলতে তিনি অস্বীকৃতি জানান।

Tuesday, October 16, 2012

'মেহেরজান' বন্ধের ব্যাখ্যা নেই

ঢালিউড ইনফোটেইনমেইন্ট:: 'মেহেরজান' চলচ্চিত্রের প্রদর্শন বন্ধের কারণ সম্পর্কে মুখ খুলছেন না কেউ। সেন্সর বোর্ড ও পরিবেশক সংস্থা এ বিষয়ে কোনো কারণ জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেছে।

২১ জানুয়ারি রুবাইয়াত হোসেন পরিচালিত 'মেহেরজান' চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায়। মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নির্মিত হয় চলচ্চিত্রটি। চলচ্চিত্রটির শিরোনামে 'যুদ্ধ ও ভালোবাসার চলচ্চিত্র মেহেরজান' বলে উল্লেখ করা হয়। দেশের ৬টি প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শিত হচ্ছিল এটি। ২৭ জানুয়ারি রাতে পরিবেশনা সংস্থা আশীর্বাদ চলচ্চিত্র ৬টি প্রেক্ষাগৃহেই 'মেহেরজান' চলচ্চিত্রের প্রদর্শন বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি পাঠায়। 'স্টার সিনেপ্লেক্স' কর্তৃপক্ষের মতে, চিঠিতে প্রদর্শন বন্ধের সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ উল্লেখ করা হয়নি। এ বিষয়ে জানতে আশীর্বাদ চলচ্চিত্রের কর্ণধার হাবিবুর রহমান খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এর কোনো কারণ জানাতে অস্বীকৃতি জানান। নির্মাতা রুবাইয়াত হোসেন বলেন, 'পরিবেশকের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা কোনো কারণ উল্লেখ করতে পারেননি। এতে বিতর্কিত কিছু থাকলে নিশ্চয়ই সেন্সর বোর্ড ছাড়পত্র দিত না।'

এ ব্যাপারে সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান সুরথকুমার সরকারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য বা আপত্তি বোর্ডের কাছে নেই, সুতরাং মেহেরজান নিয়ে কথা বলার প্রশ্নই আসে না।

ঈদের ছবি নিয়ে অনিশ্চয়তা

ঢালিউড ইনফোটেইনমেইন্ট:: গত ঈদে ছবি মুক্তি নিয়ে কাড়াকাড়ি হলেও এবারে ঈদে ঝিমিয়ে পড়েছে ঢাকাই সিনেমা। এখনো পর্যন্ত চারটি সিনেমা মুক্তি পাবার কথা থাকলেও একটির ব্যাপারেও এখনো নিশ্চয়তা মেলেনি। যে কারণে ঈদে ছবি মুক্তি নিয়ে এখনো অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন প্রদর্শকরা। অথচ ঈদের বাকি এখন মাত্র দুই সপ্তাহ।
ঈদে মুক্তি দেবার জন্য বেশ আগে প্রযোজক সমিতিতে নাম নিবন্ধন করে বদিউল আলম খোকনের ‘ডন নাম্বার ওয়ান’ ও শাহাদাৎ হোসেন লিটনের ‘জিদ্দি মামা’ ছবি দুটি। এরপর বদিউল আলম খোকনের নতুন ছবি ‘বুক ফাটে তো মুখ ফোটে না’ সেন্সর ছাড়পত্র পেলে প্রযোজক সিদ্ধান্ত নেন ছবিটি ঈদে মুক্তি দেবেন। এরই মধ্যে এফ আই মানিকের ‘স্বামী ভাগ্য’ ছবিটিও সেন্সরে জমা পড়েছে। এই ছবির প্রযোজনা সংস্থা অমি-বনি কথাচিত্র থেকে বলা হচ্ছে, ছবিটি ঈদেই মুক্তি দেওয়া হবে; যদিও ছবিটি এখনো সেন্সর ছাড়পত্র হাতে না পেলেও সময়মতো সব কিছু হয়ে যাবে বলে জানায় তারা। ফলে প্রদর্শকরা পড়েছেন দ্বিধাদ্বন্দ্বে। নতুন এই ছবি দুটি মুক্তি পেলে আবার তাঁদের নতুন করে হিসাব-নিকাশ করতে হবে। 
..................Dhallywoodinfo || বাংলাদেশী সিনেমার প্রতিচ্ছবি

অপুর দিন খারাপ

ঢালিউড ইনফোটেইনমেইন্ট:: হঠাৎ করেই ঘুরে গেছে ঢালিউডের হাওয়া। মাত্র কয়েকদিনে আগেও সিনেমা বলতে অপু বিশ্বাসকে বোঝালেও এখন সহসা তার দিকে ঝুঁকছেন না পরিচালকরা। তাছাড়া অপু শাকিব ছাড়া যে দু’একজন নায়কের বিপরীতে অভিনয় করেছেন তাতেও খুব একটা সফলতা জোটেনি। যে কারনে ‘নাই’ হয়ে যেতে শুরু করেছেন শাকিব নির্ভর এই ঢালিউড কন্যা।
বর্তমানে তার হাতে নতুন ছবি নেই। ঈদে মুক্তি পেয়েছিল তার অভিনীত ‘ঢাকার কিং’ ছবিটি। কিন্তু উল্লেখ করার মতো সাফল্য পায়নি এটি। অভিনয় ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই শীর্ষ নায়ক শাকিব খানের সঙ্গে জুটি বেঁধে ক্যারিয়ারের শীর্ষে উঠে ছিলেন তিনি। অপু নিজেও স্বীকার করেন তার প্রতিষ্ঠার পেছনে শাকিবের অবদান শতভাগ এবং তার শতকরা ৯০ ভাগ ছবির নায়কই শাকিব খান। কিন্তু যে শাকিব খানের কারণে অপু রাতারাতি তারকা খ্যাতি পেয়ে ছিলেন এখন সেই শাকিবের সঙ্গেই তার তেমন ছবি নেই। তার পরিবর্তে বর্তমানে শাকিবের বেশির ভাগ ছবির নায়িকা সাহারা। এবারের ঈদে শাকিব খানের মুক্তি পাওয়া চারটি চলচ্চিত্রের মধ্যে মাত্র একটির নায়িকা অপু। তা ছাড়া শাকিব এখন অপুর পরিবর্তে সাহারা ছাড়াও অন্য নায়িকার সঙ্গে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন বেশি। এর প্রমাণ সম্প্রতি একটি চলচ্চিত্রে জয়া আহসানের সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করছেন শাকিব খান। পাশাপাশি ঈদে মুক্তি পেয়েছে তিন্নির সঙ্গে ‘সে আমার মন কেড়েছে’ ছবিটি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন চলচ্চিত্রনির্মাতা বলেন, অপু মনে হয় হারিয়েই যাবে। এ জন্য তার অতি অহঙ্কারী মনোভাব, কাজের প্রতি অমনোযোগ, সিডিউল ফাঁসানোসহ নানা কারণ দায়ী।
অপুকে শাকিব খানের সঙ্গে জড়িয়ে অনেক গুঞ্জনও ডালপালা মেলেছিল। এসব শুনে শাকিব সব সময়ই মুচকি হেসেছিলেন। কখনো স্বীকার বা অস্বীকার করেননি ব্যাপারটি। চলচ্চিত্রকাররা বলছেন, নিজের ক্যারিয়ারকে চাঙ্গা রাখতে শাকিবের সঙ্গে জড়িয়ে এসব গুঞ্জন অপু নিজেই ছড়িয়েছিলেন। এমনকি শাকিবের সঙ্গে তার সম্পর্কের কথা প্রতিষ্ঠা করতে গত দুর্গা পূজায় অপু তার গ্রামের বাড়িতে শাকিবকে ঘটা করে নিমন্ত্রণ দিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু এত কিছুর পরও শাকিবের সঙ্গে নিজের রসায়ন তৈরির চেষ্টা, চলচ্চিত্রে নিজের স্থায়ী প্রতিষ্ঠা সবকিছুই ব্যর্থ হয়েছে বলে মনে করছেন চলচ্চিত্রকারা। চলচ্চিত্রকারদের কথায় এমন কোনো চলচ্চিত্রে অপু অভিনয় করতে পারেননি, যা তাকে কালজয়ী করে রাখতে পারে। তাদের প্রশ্ন, অপু তাহলে রেসির ভাগ্য বরণ করতে যাচ্ছেন? এত কিছুর পরও অপু ভক্তরা অপেক্ষা করছেন চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত ‘দেবদাস’ চলচ্চিত্রটি দেখার জন্য। তাদের প্রত্যাশা, এতে ‘পাবর্তী’ চরিত্র অপুর ভাগ্য ফিরিয়ে দিলেও দিতে পারে। দেখা যাক কি হয়! 
..................Dhallywoodinfo || বাংলাদেশী সিনেমার প্রতিচ্ছবি

Sunday, October 14, 2012

ঈদে ছোট পর্দায় থাকছেন পূর্ণিমা

Purnima
ছবিঃ ঢালিউড ইনফোটেইনমেইন্ট
Purnima
ছবিঃ ঢালিউড ইনফোটেইনমেইন্ট
ঢালিউড ইনফোটেইনমেইন্ট:: পূর্ণিমা বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। তার পৈতৃক বাড়ি চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে। জন্ম এবং বেড়ে ওঠা ঢাকায়।

পূর্ণিমার চলচ্চিত্র জগতে পথচলা শুরু হয়েছিল ১৯৯৭ সালে জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত `এ জীবন তোমার আমার` ছবির মাধ্যমে। এরপর বেশ কিছু চলচ্চিত্রে তার সফল উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। কথা ছিল পূর্ণিমা অভিনীত মোস্তফা কামাল রাজের পরিচালিত প্রথম সিনেমা ‘ছায়া-ছবি’ চলচ্চিত্রটি এবারের ঈদে মুক্তি পাবে। তবে শেষ পর্যন্ত তা এবারের ঈদে মুক্তি পাচ্ছে না।

তবে পূর্ণিমা ভক্তদের নিরাশ হবার কিছু নেই। এবারের ঈদে পূর্ণিমা সরব থাকবেন ছোট পর্দায়।

ঈদের টেলিছবি ‘রং বেরং’ এর শুটিং শুরু হচ্ছে ১৫ অক্টোবর। এতে অভিনয় করছেন পূর্ণিমা।

রুম্মান রশীদ খান-এর লেখা, কৌশিক শংকর দাশের পরিচালনায় এই টেলিছবিটি প্রচারিত হবে আসছে ঈদের অনুষ্ঠানমালায়, চ্যানেল আইতে। পূর্ণিমার বিপরীতে এই টেলিছবিতে অভিনয় করবেন নতুন অভিনেতা রিজভী।

পূর্ণিমা এ বিষয়ে বলেন, “এই টেলিছবির প্রধান পুরুষ চরিত্রে একজন নতুন অভিনেতাকে প্রয়োজন ছিল। তাই নির্মাতা মঞ্চের একজন অভিনেতাকে ছোট পর্দায় প্রথমবার কাজ করার সুযোগ দিয়েছেন।”

রং বেরং ছাড়াও পূর্ণিমা অভিনীত রায়হান খান পরিচালিত নাটক ‘হারিয়ে তোমাকে’ প্রচারিত হবে চ্যানেল আইয়ে ঈদের ২য় দিন। এ নাটকে তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন ইমন।

এছাড়া মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ পরিচালিত ‘অফ সাইড’ টেলিফিল্মটি প্রচারিত হবে চ্যানেল নাইনে। শুধু তাই না, নতুন খবর হলো সম্প্রতি বিজ্ঞাপনে জুটিবদ্ধ হয়েছেন চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা ও মডেল-অভিনেতা তানভীর। ডিভাইন গ্রুপের জন্য করা এই বিজ্ঞাপনটি নির্দেশনা দিয়েছেন আনজাম মাসুদ। সম্প্রতি কক্সবাজার থেকে তিন দিন বিজ্ঞাপনটির দৃশ্যধারণ করা হয়। এখন চলছে এর পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ।

অসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে এটি বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচার শুরু হবে বলে জানা যায়। বিজ্ঞাপনটি সম্পর্কে পূর্ণিমা বলেন, অনেক সুন্দর একটি গল্প। ক্যামেরা থেকে শুরু করে লোকেশনে এতে অনেক ভেরিয়েশন আনা হয়েছে। আশা করছি দর্শকদের অন্যরকম ভালো লাগবে। আর তানভীর আমার সাথে বেশ ভালোভাবেই কাজ করেছে।

পূর্ণিমা ও আরেফিন শুভ জুটির প্রথম চলচ্চিত্র ছায়া-ছবির শুটিং শুরু হয় গত মার্চ মাসে চট্টগ্রামে। শুটিং এর শুরুতেই মৌসুমীর লেখা এবং অভিজিত ও আকৃতির গাওয়া ‘মন যা বলে বলুক, আমি তোমারই হব’ গানটির মধ্য দিয়ে ছায়াছবি চলচ্চিত্রের দৃশ্য ধারণের কাজ শুরু হয়।

এরপর ছবি চলচ্চিত্রের গানের অডিও অ্যালবাম বাজারে আসে। ছায়া-ছবি চলচ্চিত্রের এই অ্যালবামে দেশ-বিদেশের বেশ কয়েকজন কণ্ঠশিল্পীর গান রয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছেন ভারতের শান, অভিজিত, রাঘবচ্যাটার্জি,অন্বেষা ও বাংলাদেশের আরফিন রুমী, নিশিতা ও পড়শী।

ছবিটি নিয়ে পূর্ণিমা বলেছেন, ‘অনেকদিন ধরে যে ধরনের চরিত্রে অভিনয়ের জন্য অপেক্ষা করেছিলাম। ছায়া-ছবিতে অভিনয়ের পর অ‍ামার মনে হয়েছে যে এরকম একটি ছবিতে অভিনয়ের জন্য অপেখা করছিলাম। আমি নিজে অভিনয় করে তুষ্ট, বাকিটা দর্শকরা বলবেন।

চলচ্চিত্রের চলতি মন্দাবাজারে ২০১১ সালে পূর্ণিমা অভিনীত পর পর দুটি ছবি ব্যবসায়িক সাফল্যের মুখ দেখেছে। মোহাম্মদ আসলাম পরিচালিত ‘গরীবের মন অনেক বড়’ এবং শাহ আলম কিরণ পরিচালিত ‘মাটির ঠিকানা’ ছবি দুটিতেই পূর্ণিমার উপস্থিতি ছিল উজ্জ্বল।
এখানে আলাদাভাবে শাকিব খানের বিপরীতে ‘মাটির ঠিকানা’ ছবির কথা উল্লেখ না করলেই নয়। এখনকার ছবিতে শীর্ষনায়ক শাকিব খানের পর্দা উপস্থিতির কাছে নায়িকারা প্রায়ই ম্লান হয়ে যান। কিন্তু  ‘মাটির ঠিকানা’ ছবিতে হয়েছে উল্টোটা।
 
এ ছবিতে পূর্ণিমার আলোর কাছেই বরং খানিকটা ম্লান লেগেছে ঢালিউডের শীর্ষ নায়ককে। দর্শকরাও উপভোগ করেছে পূর্ণিমার অভিনয়। কিন্তু কাজ শেষ না হওয়ায় এবার ঈদের তা আর মুক্তি পাচ্ছে না। তাই আপাতত পূর্ণিমাকে ছোট পর্দায় দেখেই তার ভক্তদের সন্তুষ্ট থাকতে হবে। 
...................................Dhallywoodinfo || বাংলাদেশী সিনেমার প্রতিচ্ছবি

ঢালিউড || Up Coming


সিনেমার নাম: প্রিয়তমা আমি দাঁড়ি তুমি কমা,
অভিনয়ে: নিলয় আইরিন সুলতানা 
প্রযোজনা: আর্ট পিকচার্স 
পরিচালনা: মোহাম্মদ আলী পারভেজ  
রিলিজ: Coming soon...
...................................Dhallywoodinfo || বাংলাদেশী সিনেমার প্রতিচ্ছবি



সিনেমার নাম: পরবাসিনী - The Sweet Angel
অভিনয়ে: নীরব, মেহজাবীন
প্রযোজনা:
পরিচালনা: স্বপন আহমেদ (লাল টিপ)
রিলিজ: Coming soon...
বাংলাদেশে প্রথম ওয়ার্ল্ড ক্লাস সায়েন্স ফিকশন-অ্যাকশান থ্রীলার মুভি

নাসার একদল বিজ্ঞানী 'অ্যারিস-৩২' নামের নতুন একটি গ্রহ আবিষ্কার করে আর গ্রহে এক ধরনের তরল পদার্থ পাওয়া গেছে, যাতে বোঝা যায় গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব আছে এই প্রাণের সন্ধানে একদল বিজ্ঞানী সে গ্রহে যায় সেখানে বড় বড় প্রাসাদ দেখে তারা অবাক হয় একটা সময় পৃথিবী থেকে যাওয়া বিজ্ঞানীদের দেখা হয় একদল এলিয়েনের সঙ্গে
...................................Dhallywoodinfo || বাংলাদেশী সিনেমার প্রতিচ্ছবি



সিনেমার নাম: ভালবাসার রংধনু
অভিনয়ে: অ্যানি খান, নাঈম আঁচল
প্রযোজনা:
পরিচালনা: সৈয়দ নাবিল আশরাফ
রিলিজ: Coming soon...

ভার্সিাট পড়ুয়া তিনজন তরুন -তরুনীর মনের দ্বিধা- দ্বন্দ্ব, রহস্য প্রেম নিয়ে চলচ্চিত্রভালবাসার রংধনুনির্দেশনা পরিচালনা উদীয়মান পরিচালক সৈয়দ নাবিল আশরাফ সুস্থ রুচিশীল বিনোদনের মাধ্যমে বাংলাদেশের সিনেমা দর্শকদেরকে একটি ভাল ছবি উপহার দেয়ার জন্যই তার এই প্রয়াসভালবাসার রংধনু”-তে ডিওপি হিসেবে কাজ করছেন নাবিদ খান চৌধুরি ডান্স কোরিওগ্রফি শাকিল মিউজিক আবিদ রনি এবং ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর হিসেবে রয়েছেন মইনুল ইসলাম প্রধান চরিত্রে অভিনয় করছেন অ্যানি খান, নাঈম আঁচল
...................................Dhallywoodinfo || বাংলাদেশী সিনেমার প্রতিচ্ছবি



সিনেমার নাম: এইতো ভালোবাসা
অভিনয়ে: নিপুণ, ইমন, নীরব, সিদ্দিক, মিজু আহমেদ, নায়করাজ রাজ্জাকসহ অনেকে
প্রযোজনা: আরটিভি
পরিচালনা: শাহিন কবির টুটুল 
রিলিজ: Coming soon...
...................................Dhallywoodinfo || বাংলাদেশী সিনেমার প্রতিচ্ছবি





সিনেমার নাম: পুর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী
অভিনয়ে: শাকিব খান, জয়া আহসান, আরেফিন শুভ, সাজু খাদেম দিতি
প্রযোজনা:
পরিচালনা: সাফি উদ্দিন
রিলিজ: Coming soon...
 
মালয়েশিয়া সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন মনোরম লোকেশনে ছবিটির চিত্রগ্রহণ হবে বলে জানা গেছে পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী ছবির সবগুলো গানের কথা লিখেছেন কবির বকুল খুব শিগগিরই গানগুলোর রেকর্ডিং শুরু হবে ভালবাসা দিবস ২০১৩ তে চলচ্চিত্র টি মুক্তি দেয়ার কথা আছে
...................................Dhallywoodinfo || বাংলাদেশী সিনেমার প্রতিচ্ছবি



সিনেমার নাম: নিঃস্বার্থ ভালবাসা (What is Love)

অভিনয়ে: অনন্ত, বর্ষা, শর্মী, নায়করাজ রাজ্জাক, মিশা

চিত্রগ্রহণ: মাহফুজুর রহমান খান
সম্পাদনা: একরাম হোসেন
কাহিনী, সংলাপ, পরিচালনা এবং প্রযোজনা: এম, , জলিল অনন্ত
সার্বিক ব্যবস্থাপনা: অনন্য মামুন

রিলিজ: ফেব্রুয়ারী ২০১৩


শুটিং হয়েছে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড এবং ভারতের বিভিন্ন লোকেশানে
...................................Dhallywoodinfo || বাংলাদেশী সিনেমার প্রতিচ্ছবি



সিনেমার নাম: টেলিভিশন

অভিনয়ে: মোশাররফ করিম,চঞ্চল চৌধুরী,নুসরাত ইমরোজ তিশা,কাজী শাহীর হুদা রুমী,শামীম শাহেদ,মুকিত মজুমদার

প্রযোজনা: ছবিয়াল,স্টার সিনেপ্লেক্স,মোগাদর ফিল্ম (জার্মানি)

পরিচালনা: মোস্তফা সরয়ার ফারুকী

রিলিজ: নভেম্বরের শেষ কিংবা ডিসেম্বরের শুরুর দিকেটেলিভিশনচলচ্চিত্রটি বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দেয়া হবে
...................................Dhallywoodinfo || বাংলাদেশী সিনেমার প্রতিচ্ছবি




সিনেমার নাম: কেমন প্রেমের গল্প
অভিনয়ে: আরেফিন শুভ, আইরিন, আঁচল
প্রযোজনা: জুয়েল আহমেদ
পরিচালনা: ফয়সাল রডি
রিলিজ: Coming soon... 
...................................Dhallywoodinfo || বাংলাদেশী সিনেমার প্রতিচ্ছবি