ঢালিউড ইনফোটেইনমেইন্ট:: 'মেহেরজান'
ছবিটি রাতারাতি বিখ্যাত করে তোলে শায়না আমিনকে। মাঠে আড্ডায় বসলেই ছবি
তুলতে আসে মেয়েরা। বিস্তারিত জানাচ্ছেন জয়ন্ত সাহা, ছবি তুলেছেন কাকলী
প্রধান
কোথায় পড়ছেন?
লালমাটিয়া মহিলা কলেজে ব্যবস্থাপনা প্রথম বর্ষে। ভর্তি হয়েছি গত বছর।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় মানেই তো সেশন জট। এটা জেনেও ভর্তি হলেন কেন?
ইচ্ছা ছিল প্রাইভেটে পড়ব। কিন্তু তখন মিডিয়ায় কাজ শুরু করে দিয়েছি। প্রাইভেটে পড়াশোনার অনেক চাপ। মিডিয়া, পড়াশোনা দুটো একসঙ্গে চালাতে পারতাম না। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়েই পড়ব। বন্ধুরা সবাই লালমাটিয়ারই ফরম তুলেছিল। সাতপাঁচ না ভেবে গত বছর এ কলেজেই ভর্তি হয়ে গেলাম।
ক্যাম্পাস লাইফের প্রথম দিনটি কেমন ছিল?
প্রথম দিন দুটি ক্লাস ছিল। প্রথম ক্লাসেই স্যার জানিয়ে দিলেন, 'জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেবাস অনেক বড়। ফাঁকিবাজি চলবে না।' ক্লাস শেষে বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা দিলাম কলেজের মাঠে।
'মেহেরজান'-এর শুটিংয়ের সময় ক্লাস করতে পেরেছিলেন?
ভর্তির পর পরই মেহেরজানের শুটিং শুরু হয়। শুটিংয়ের ব্যস্ততায় ক্লাস করা সম্ভব ছিল না। তাই পুরো এক বছর ক্যাম্পাসে যাইনি। এখন আবার নিয়মিত ক্লাস করছি।
'মেহেরজান' মুক্তির পর ক্যাম্পাসে কী প্রতিক্রিয়া?
বন্ধুরা দল বেঁধে সিনেপ্লেক্সে গিয়ে সিনেমা দেখেছে। স্যাররাও অভিনয়ের প্রশংসা করেছেন। কিন্তু আমার কপালটাই খারাপ। সিনেমাটি তো আর চলছে না। খুব মন খারাপ করে ক্যাম্পাসে আসতাম। স্যার, বন্ধুরা সবাই ছবি বন্ধের ব্যাপারে হতাশ।
তারকাখ্যাতির বিড়ম্বনাটা কেমন?
স্যাররা ক্লাসে দাঁড় করিয়ে অভিনয়ের টিপস দেন। মাঠে আড্ডায় বসলেই মেয়েরা ছবি তুলতে আসে। মজার ব্যাপার কী, আমার সঙ্গে যে কথা হয়েছে সেটাকে বিশ্বাসযোগ্য করতে ভিডিও করে নিয়ে যায়।
স্কুলবেলা কোথায়, কেমন কেটেছে?
আমি পড়তাম লালমাটিয়া গার্লস হাই স্কুলে। এখান থেকেই এসএসসি সিনিয়রদের সঙ্গে ছিল গলায় গলায় ভাব। একটু বড় হওয়ার পর ক্লাসমেটদের সঙ্গে প্রায়ই হাতাহাতি হতো। কত দিন যে আহত হয়ে বাসায় ফিরেছি! কলেজ ছিল মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি কলেজ।
অভিনয়ের শুরু তো স্কুলেই!
অভিনয়ের শুরু সপ্তম শ্রেণীতে। বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সুকুমার রায়ের 'অবাক জলপান' নাটিকায় ঝুড়িওয়ালার চরিত্রে অভিনয় করেছিলাম। এ ছাড়া স্কুলের সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে ইভেন্টে সাজসজ্জা, ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব ছিল আমার ওপর। হামদ-নাতে অংশ নিয়েছি। নাচ শিখেছি 'নৃত্যাঙ্গন একাডেমী'তে।
ক্লাস পালিয়েছেন কখনো?
সায়েন্সের ছাত্রী ছিলাম। বিষয়গুলো এত নীরস লাগত যে ক্লাস পালিয়ে বসুন্ধরা সিটি, রাইফেলস স্কয়ার, নিউ মার্কেটে ঘুরতাম। ধরা পড়ার ভয়ে বন্ধুর বোরকা পরে বের হতাম।
স্কুলজীবনেই তো মিডিয়ায় কাজ শুরু করেছিলেন?
ক্লাস টেনে পড়ার সময় সানসিল্ক শ্যাম্পুর অ্যাড করি। অ্যাডের একটা ডায়ালগ ছিল 'তিন দু গুণে পাঁচ'। ডায়ালগটা নিয়ে বন্ধুরা জ্বালিয়ে মারত। অঙ্কে এমনিতেই একটু কাঁচা ছিলাম তার ওপর এই বিজ্ঞাপন! তবে বন্ধু, স্যার সবাই বিজ্ঞাপনটির প্রশংসা করেছিলেন।
ক্যারিয়ার নিয়ে কী ভাবছেন?
ম্যানেজমেন্টেই ক্যারিয়ার গড়ব। বিবিএ পড়া শেষ করে করপোরেট হাউসে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টে কাজ করার ইচ্ছা আছে।
লালমাটিয়া মহিলা কলেজে ব্যবস্থাপনা প্রথম বর্ষে। ভর্তি হয়েছি গত বছর।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় মানেই তো সেশন জট। এটা জেনেও ভর্তি হলেন কেন?
ইচ্ছা ছিল প্রাইভেটে পড়ব। কিন্তু তখন মিডিয়ায় কাজ শুরু করে দিয়েছি। প্রাইভেটে পড়াশোনার অনেক চাপ। মিডিয়া, পড়াশোনা দুটো একসঙ্গে চালাতে পারতাম না। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়েই পড়ব। বন্ধুরা সবাই লালমাটিয়ারই ফরম তুলেছিল। সাতপাঁচ না ভেবে গত বছর এ কলেজেই ভর্তি হয়ে গেলাম।
ক্যাম্পাস লাইফের প্রথম দিনটি কেমন ছিল?
প্রথম দিন দুটি ক্লাস ছিল। প্রথম ক্লাসেই স্যার জানিয়ে দিলেন, 'জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেবাস অনেক বড়। ফাঁকিবাজি চলবে না।' ক্লাস শেষে বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা দিলাম কলেজের মাঠে।
'মেহেরজান'-এর শুটিংয়ের সময় ক্লাস করতে পেরেছিলেন?
ভর্তির পর পরই মেহেরজানের শুটিং শুরু হয়। শুটিংয়ের ব্যস্ততায় ক্লাস করা সম্ভব ছিল না। তাই পুরো এক বছর ক্যাম্পাসে যাইনি। এখন আবার নিয়মিত ক্লাস করছি।
'মেহেরজান' মুক্তির পর ক্যাম্পাসে কী প্রতিক্রিয়া?
বন্ধুরা দল বেঁধে সিনেপ্লেক্সে গিয়ে সিনেমা দেখেছে। স্যাররাও অভিনয়ের প্রশংসা করেছেন। কিন্তু আমার কপালটাই খারাপ। সিনেমাটি তো আর চলছে না। খুব মন খারাপ করে ক্যাম্পাসে আসতাম। স্যার, বন্ধুরা সবাই ছবি বন্ধের ব্যাপারে হতাশ।
তারকাখ্যাতির বিড়ম্বনাটা কেমন?
স্যাররা ক্লাসে দাঁড় করিয়ে অভিনয়ের টিপস দেন। মাঠে আড্ডায় বসলেই মেয়েরা ছবি তুলতে আসে। মজার ব্যাপার কী, আমার সঙ্গে যে কথা হয়েছে সেটাকে বিশ্বাসযোগ্য করতে ভিডিও করে নিয়ে যায়।
স্কুলবেলা কোথায়, কেমন কেটেছে?
আমি পড়তাম লালমাটিয়া গার্লস হাই স্কুলে। এখান থেকেই এসএসসি সিনিয়রদের সঙ্গে ছিল গলায় গলায় ভাব। একটু বড় হওয়ার পর ক্লাসমেটদের সঙ্গে প্রায়ই হাতাহাতি হতো। কত দিন যে আহত হয়ে বাসায় ফিরেছি! কলেজ ছিল মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি কলেজ।
অভিনয়ের শুরু তো স্কুলেই!
অভিনয়ের শুরু সপ্তম শ্রেণীতে। বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সুকুমার রায়ের 'অবাক জলপান' নাটিকায় ঝুড়িওয়ালার চরিত্রে অভিনয় করেছিলাম। এ ছাড়া স্কুলের সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে ইভেন্টে সাজসজ্জা, ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব ছিল আমার ওপর। হামদ-নাতে অংশ নিয়েছি। নাচ শিখেছি 'নৃত্যাঙ্গন একাডেমী'তে।
ক্লাস পালিয়েছেন কখনো?
সায়েন্সের ছাত্রী ছিলাম। বিষয়গুলো এত নীরস লাগত যে ক্লাস পালিয়ে বসুন্ধরা সিটি, রাইফেলস স্কয়ার, নিউ মার্কেটে ঘুরতাম। ধরা পড়ার ভয়ে বন্ধুর বোরকা পরে বের হতাম।
স্কুলজীবনেই তো মিডিয়ায় কাজ শুরু করেছিলেন?
ক্লাস টেনে পড়ার সময় সানসিল্ক শ্যাম্পুর অ্যাড করি। অ্যাডের একটা ডায়ালগ ছিল 'তিন দু গুণে পাঁচ'। ডায়ালগটা নিয়ে বন্ধুরা জ্বালিয়ে মারত। অঙ্কে এমনিতেই একটু কাঁচা ছিলাম তার ওপর এই বিজ্ঞাপন! তবে বন্ধু, স্যার সবাই বিজ্ঞাপনটির প্রশংসা করেছিলেন।
ক্যারিয়ার নিয়ে কী ভাবছেন?
ম্যানেজমেন্টেই ক্যারিয়ার গড়ব। বিবিএ পড়া শেষ করে করপোরেট হাউসে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টে কাজ করার ইচ্ছা আছে।
::.ঢালিউড ইনফোটেইনমেইন্ট
No comments:
Post a Comment